‘গ্যাস-বিদ্যুৎ-তেল-পানিসহ সকল দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে সমাবেশ- শ্বেতপত্র এবং উত্তরণ প্রস্তাব কর্মসূচিতে নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, বৃদ্ধি হওয়া মূল্য থেকে কমানোর নাটক করেছে প্রতিটি সরকার; এই সরকারও তার ব্যতিক্রম নয়।
২৫ মার্চ বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এসময় প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষকবন্ধু আবদুল মান্নান আজাদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিপুন মিস্ত্রী, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা, ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয়ক জোবায়ের মাতুব্বর, পুরান ঢাকার নেতা আবুল হোসেন, মুন্সিগঞ্জ এনডিবির যুগ্ম আহবায়ক শেখ লিজা, হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, স্বাধীনতার মাসে, পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের অন্যায়ভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি থামাতে রাষ্ট্রকে কার্যকর পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সাথে ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে বলে বলে মন্ত্রী-এমপি-জনপ্রতিনিধিদের ষড়যন্ত্রময় মিথ্যে কথা থামাতে হবে।
এসময় মোমিন মেহেদী আরো বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে কোন সরকার-ই দ্রব্যমূল্য কমানোর কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। বরং গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি-তেলেসহ বিভিন্ন দ্রব্যমূল্য ব্যবসায়িদের স্বার্থরক্ষায় বৃদ্ধির পর সেই বৃদ্ধি হওয়া মূল্য থেকে কমানোর নাটক করেছে। এমনকি গ্যাস-বিদ্যুৎ-তেল-পানিসহ সকল প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়াতে তাদের ইন্ধন ছিলো।
৫০ বছরে চালেল দাম ২০০ বার, তেলের দাম ৫৭ বার, গাড়ি ভাড়া ৫২ বার বৃদ্ধির মত জঘণ্য ঘটনাও ঘটেছে যখন যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তখন সেই সরকারের যোগ সাজশে। সত্যিকার্থেই জনগনের কথা কোন সরকারই ভাবেনি। চলমান সরকারও তার কোন ব্যতিক্রমতার প্রমাণ দিতে পারেনি। কথায় কথায় এরা এক দল আরেক দলের ক্ষমতাকালীন যে দুর্নীতি, তার উদাহরণ টানে, অথচ কোন পার্থক্য তৈরি করতে পারে না।
এক দলের ক্ষমতাকালীন সরকার ২০০ কোটি, তো আরেক দলের ক্ষমতাকালীন সরকার সেই রেকর্ড ভেঙ্গে ২ লক্ষ কোটি টাকা দুর্নীতি করে। কারো চেয়ে কেউ দুর্নীতিতে পিছিয়ে নেই। এমতবস্থায় আমজনতাকেই ভোগ করতে হচ্ছে সকল ভোগান্তি। জনগন দুর্নীতির হাত থেকে মুক্তি চায়, দ্রব্যমূল্য কমানোর জন্য সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ চায়।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্মম মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে আমজনতার রুটি-রুজি-জীবন-জীবিকার কথা ভেবে ব্যয়ভার কমিয়ে আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে, বেকারত্ব ঘোচানোর জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়াসহ বিভিন্ন ইস্যু বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি।