১২ বছরের আইনি লড়াই শেষে শিক্ষক হলেন বিউটি বেগম !

0
174
উত্তরাঞ্চলীয় জেলা গাইবান্ধায় ২০০৮ সালে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েও নিয়োগ না পাওয়া বিউটি বেগম দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। স্থানীয় সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: মাসুমুল ইসলাম বলেন, “বিউটি বেগম সোমবারই যোগ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে”।
অথচ গাইবান্ধায় সদর উপজেলায় প্রথম হলেও ২০০৮ সালে তাকে ওই স্কুলের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়নি। প্রতিকার পেতে আদালতে যাওয়ার দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর আপিল বিভাগ থেকে চূড়ান্ত নির্দেশনা এলো তার পক্ষেই।
“স্কুলটি তখন রেজিস্টার্ড বেসরকারি ছিলো। আমি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলাম। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটি আমাকে না নিয়ে আরেকজনকে নিয়েছিলো। এর প্রতিকার পেতে আমি আদালতে গিয়েছিলাম,” বলছিলেন বিউটি বেগম।
তিনি সোমবার শিক্ষা অফিসে যোগ দেয়ার পর আজ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র ওই অফিসে সাবমিট করে বলেন, “আমার প্রতি অন্যায় হয়েছিলো। আদালতে আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। সিনিয়রিটি সহ আমাকে নিয়োগের আদেশ দিয়েছে আদালত”। “খুব স্বস্তি লাগছে। অনেক দৌঁড়াতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হয়েছে। খুব ভালো লাগছে।
নিজের গ্রামের স্কুল থেকে ৯৭ সালে এসএসসি ও পরে গাইবান্ধা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ৯৭ সালে এইচএসসির পর ডিগ্রি পাশ করেন তিনি। এরপর ২০১৩ সালে বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে মাস্টার্স করেন তিনি।এর মধ্যেই ২০০৮ সালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার সরকারতাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রথম হন। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটি তাকে নিয়োগ দেয়নি।
“এর বিরুদ্ধেই আমি সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছিলাম ও আদালত আমার পক্ষেই রায় দিয়ে আমাকে নিয়োগের জন্য নির্দেশ দেয় দিয়েছিলো”।
এরপর বিষয়টি গড়ায় হাইকোর্টে এবং সেখানেও বিউটি বেগমের পক্ষেই রায় আসে। কিন্তু তার পরিবর্তে ২০০৮ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
২০১৭ সালের তেসরা অগাস্ট আপিল বিভাগ ওই আবেদন খারিজ করে পনের দিনের মধ্যে বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here