আসুন, দুনীর্তিমুক্ত একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ি !

0
133

সারা বাংলাদেশে চলছে ছাত্র-জনতার আনন্দ মিছিল ও বিজয় উল্ল্যাস। র্দীঘ ১৫ বছর স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনের পর আজ বাংলার আকাশে উদিত হয়েছে নতুন সুর্য।

এই স্বাধীন সূর্য্যে নতুন আলোতে দেশের আপামর জনতা নতুন বাংলা-দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে। মুক্ত আকাশে দু‘হাত উপরে তুলে স্বাধীন ভাবে নিঃশ্বাস নিচ্ছে।

ইতিমধ্যে নতুন সূর্যকে ছিনিয়ে আনতে রাজপথে জীবন দিয়েছে হাজার ও ছাত্র-জনতা। বিভ্যসু অত্যাচারের শিকার হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মা-বোনেরা। রক্তের দামে কিনে আনা এই নতুন স্বাধীনতাকে আমরা কিছুতে ভূলন্ঠিত হতে দিতে পারিনা।

মনে রাখতে হবে- দলবাজরা দেশব্যাপী ধংশ যজ্ঞ চালাতে পারে। সেই জন্য ছাত্রসমাজ ও সচেতনজনতাকে সজাগ থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই দেশের প্রতিটি সরকারী, বেসরকারী আধা-সরকারী প্রতিষ্ঠান আমাদের সর্ব সাধারনের অর্থে কেনা।তাই সবায়কে ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

মনে রাখতে হবে-আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) মক্কা বিজয় পরবর্তী কেউকে বন্দী কিম্বা নির্যাতন করেন নাই। জুলুমবাজদের জায়গা ইতিহাসের আস্থাকুড়ে।

ইতিমধ্যে জুলুমবাজেরা দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে। হৃদয়ে জমানো সকল ঘৃনা দিয়ে তাদেরকে সভ্যসমাজ আলাদা রাখুন। তারা যেন আর সমাজের মধ্যে বৈষম্য-বিবেদ সৃষ্টি করতে না পারে।

আমাদের এই নতুন সূর্য্যের তাতার সর্বজন শ্রদ্ধেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়করা বিবৃতিতে বলেছেন, এ মুহূর্ত থেকে আর কোথাও আগুন জ্বলবে না। সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে আন্দোলন কারী ছাত্র-জনতার সম্পর্ক নেই।

তিনি আরো বলেছেন, পরাজিত গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক হামলা করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারে। এ থেকে ছাত্র-জনতাকে সাবধান থাকতে হবে।

তাই আসুন, আমরা নতুন নেতৃত্ব মেনে সাম্য-সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাই। দুনীর্তিমুক্ত একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here