শরীয়তপুর প্রতিনিধ ॥ শরীয়তপুরের বিদায়ী পুলিশ সুপার এস.এম. আশরাফুজ্জামানকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। ১৭ আগস্ট বুধবার দুপুরে শরীয়তপুর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাকে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতির কারণে তাকে বিদায় নিতে হয়। তিনি প্রায় তিন বছর পুলিশ সুপার পদে শরীয়তপুরে কর্মরত ছিলেন।
বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইলেক্ট্রনিক জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি রোকনুজ্জামান পারভেজ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহিদুজ্জামান খান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাহাবুব আলম। এই সময় পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আকতার হোসেনসহ শরীয়তপুরে কর্মরত ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিদায়ী পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে বলেন, পুলিশ সুপার হিসেবে প্রথম শরীয়তপুরে আসি। তিন বছর শরীয়ত পুরের মানুষের সাথে মিশেছি। আমার প্রথম পেশা ছিল সাংবাদিকতা। সেই সুবাদে শরীয়তপুরের সাংবাদিকদের সাথে সহকর্মীর সম্পর্ক ছিল। তাদের কাছ থেকে সহযোগিতাও পেয়েছি। শরীয়তপুরের মানুষের জন্য আমার ফোন নম্বর সবসময় খোলা ছিল। তাদের ফোন রাতেও রিসিভ করতাম।
এই নিয়ে আমার স্ত্রীর মুখে শুনেছি, ‘রাতেও ফোন ধরতে হয়’। তখন আমি স্ত্রীকে বলতাম, ‘মানুষের সেবা করার জন্য এসেছি’। শরীয়তপুরের মানুষকে কাছ থেকে দেখেছি ও বুঝেছি। এখন পদোন্নতি পেয়েছি কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়ার আর সুযোগ থাকবে না। শরীয়তপুরে না থাকলেও শরীয়তপুরের সাংবাদিকদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করব।
বিদায়ী পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্যে শরীয়তপুরের সাংবাদিকরা বলেন, অনেক সময় পুলিশ সুপারের সফর সঙ্গী হয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। তিনি করোনা ও বন্যা মোকাবেলায় প্রত্যন্ত এলাকায় ছুটে যেতেন। সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশা বুঝতে চেষ্টা করতেন। এছাড়াও তিনি একজন সাংবাদিক বান্ধব পুলিশ সুপার ছিলেন। আমরা তার কাছ থেকে সকল সময় সহযোগিতা পেয়েছি। পদোন্নতি জনিত কারণে তাকে বিদায় দিতে হচ্ছে। শরীয়তপুুুুরবাসীর দোয়া তার সাথে থাকবে।