বোমা হামলায় পুতিনের মস্তিষ্ক’ হিসেবে পরিচিত আলেকজান্ডার দুগিনের মেয়ে নিহত !

0
97

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মেয়ে বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন। সন্দেহ করা হচ্ছে গাড়ি বোমা হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করছে যে কমিটি তারা বলছে রাজধানী মস্কোর বাইরে রাস্তায় এক বিস্ফোরণে দারিয়া দুগিনা নিহত হয়েছেন।

ধারণা করা হচ্ছে তার পিতা রুশ দার্শনিক আলেকজান্ডার দুগিন, যিনি “পুতিনের মস্তিষ্ক” হিসেবে পরিচিত তাকে হত্যা করার জন্য এই হামলা চালানো হয়েছিল।

দুগিন একজন প্রখ্যাত উগ্র-জাতীয়তাবাদী মতাদর্শী দার্শনিক যিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়। আলেকজান্ডার দুগিন এবং তার কন্যা দারিয়া মস্কোর কাছেই একটি উৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে দার্শনিক দুগিন বক্তব্য রাখেন।

এই অনুষ্ঠানটিকে শিল্প-প্রেমীদের জন্য একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান হিসেবে বর্ণনা করা হয়। রুশ কবি আলেকজান্ডার পুশকিন একসময় যে জাখারোভা এস্টেটে থাকতেন সেখানে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।

তাদের দুজনেরই অনুষ্ঠান শেষে একসঙ্গে একই গাড়িতে করে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু খবরে বলা হচ্ছে  দুগিন একেবারে শেষ মূহুর্তে মেয়ের সঙ্গে না ফিরে আলাদা গাড়িতে করে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।

টেলিগ্রামে পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, পুড়ে যাওয়া গাড়িটি যেখানে পড়ে আছে, রাশিয়ার জরুরি সার্ভিসের লোকেরা সেখানে এসে পৌঁছালে দুগিন সেদিকে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছেন। বিবিসি এই ভিডিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করে দেখতে পারেনি।

টেলিগ্রামে তিনি লিখেছেন, ” ইউক্রেন সরকারের সন্ত্রাসীরা আলেকজান্ডার দুগিনকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলার চেষ্টা করছে। তারা তার কন্যাকে গাড়িতে উড়িয়ে দিয়েছে। আমরা দারিয়াকে স্মরণ করছি। সে সত্যিকারের একজন রুশ কন্যা।”

বিবিসির উইল ভার্নন বলছেন, এধরনের হামলার ঘটনা, বিশেষ করে ক্রাইমিয়াতে একের পর এক বিস্ফোরণ ও হামলা, মস্কোর কর্মকর্তাদের নার্ভাস করে তুলবে।

ক্রেমলিনের প্রচারণায় জোর দিয়ে বলা হয় যে ১৯৯০-এর দশকের পর, যখন রাশিয়াতে প্রায়শই গাড়ি-বোমা হামলার ঘটনা ঘটতো, ভ্লাদিমির পুতিন এর পর দেশটিতে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনেছিলেন।

কিন্তু এখন খোদ রাজধানীতে এই হামলার ঘটনা ক্রেমলিনের প্রচারণাকে প্রশ্নের মুখে ছুঁড়ে দেবে- বলছেন উইল ভার্নন। রুশ সরকারের কোনো পদে না থাকলেও মিস দুগিনার পিতা প্রেসিডেন্ট পুতিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে ধারণা করা হয়। আলেকজান্ডার দুগিনকে “পুতিনের রাসপুতিন” বলেও ডাকা হয়ে থাকে।

এই দার্শনিকের কন্যা দারিয়া দুগিনাও ছিলেন একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক যিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের সোচ্চার সমর্থক ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here