Home রাজশাহী বিভাগ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট এ আক্রান্ত-৭ ॥ ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু-৪ !
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি প্রতিরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের আজ ৫ম দিন চলছে। কঠোর লকডাউন চলাকালেই জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাস ধরা পড়েছে ৭ জনের দেহে। এসব রোগীদের আবারও পরীক্ষার কথা বলছেন জেলা সিভিল সার্জন।
জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাস ধরা পড়েছে ৭ জনের দেহে সনাক্তের বিষয় স্বীকার করলেও তাদের নাম পরিচয় এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর বলে জানিয়েছেন।
জেলায় কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে লকডাউন। মফস্বলে কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকরে শনিবার মাঠে তৎপর রয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তা ও সদস্যরা।
জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এবং জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে। লকডাউনে দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাস ও ট্রেনসহ যানবাহন বন্ধ রয়েছে। মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ঘোষিত জেলায় বিশেষ কঠোর লকডাউন গত সোমবার রাত (২৫ মে) ১২টা থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউন চলবে ৩১ মে রাত ১২টা পর্যন্ত।
সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী শনিবার দুপুরে জানান, জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাস ধরা পড়েছে ৭ জনের দেহে। তবে তাদের ঠিকানা নিশ্চিত হতে পারেনি স্বাস্থ্য দপ্তর। আক্রান্তরা ভারতীয় ও স্থানীয় রয়েছে। এসব ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাস আক্রান্তদের আবারও পরীক্ষা করা হবে।
গত ২৪ ঘন্টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ১৩১টি স্যাম্পল রেপিট এন্টিজেন টেস্ট করে ৩৮ জনের পজেটিভ পাওয়া গেছে। যা পরীক্ষার প্রায় ৩৪%। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বর্তমানে করোনা রোগী চিকিৎসাধিন রয়েছে ৪৫১ জন।
জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৫৬৭ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর ১ হাজার ১১৬ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এবং মারা গেছে ৩২ জন। ভারত থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে মোট ৮০জন। এর মধ্যে ২জনের দেহে করোনা সনাক্ত হয়েছে।
ভারত থেকে আসা মানুষদের সকলকে জেলা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে এবং সোনামসজিদ ডাকবাংলোতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জেলায় লকডাউন অনেকটায় কার্যকর হয়েছে, জেলার মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে। তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।