চাঁপাইনবাবগঞ্জের শাহজাহানপুর ইউপির ডিলার সেলিম’র বিরুদ্ধে যত অভিযোগ !

0
75

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ দূর্ণীতি-অনিয়ম ও ভূয়া তালিকা তৈরী করে সরকারের দেয়া খাদ্যবান্ধব চাল বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার শাহজাহান পুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালামের ছেলে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর ডিলার মোঃ সেলিম রেজা (দুলাল)’র বিরুদ্ধে।

চেয়ারম্যান থাকাকালিন ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ ছেলের নামে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর ডিলারসীপ নিয়ে এবং স্বেচ্ছাচারিতা- অনিয়মের মাধ্যমে তালিকা করে নিজেরাই ভোগ করছেন অনেক নামে- বেনামে কার্ডের চাল। এমনকি তালিকায় একাধিক কার্ডের নিজেদের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে সেই চাল তুলে বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

কার্ড করে বছরের পর বছর চাল ভোগ করেছেন, কিন্তু তালিকাভূক্ত পরিবার জানেন না এমনও অভিযোগ পাওয়া গেছে। চেয়ারম্যান পরিবর্তন হলেও, পরিবর্তন হয়নি স্বেচ্ছাচারী ও অনিয়মের তালিকা। একইভাবে চলছে ছেলের খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর ডিলার এবং চাল বাণিজ্য।

প্রতিকার চেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ পত্র দিয়েছেন স্থানীয় মোঃ নুরুজ্জামান বকুল। প্রতিকারের অভিযোগপত্রে স্বাক্ষরও করেছেন শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তরিকুল ইসলাম ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ ৫ ইউপি সদস্য।

গত ০৫-০৯-২২ তারিখ এই অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। অভিযোগপত্র ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত ২০১৬-২০২১ মেয়াদে নির্বাচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার ম্যান মোঃ আব্দুস সালাম স্বেচ্ছাচারিতা এবং অনিয়ম করে তালিকা তৈরীর মাধ্যমে চাল বানিজ্য করে আসছেন।

নিজে চেয়ারম্যান হয়ে মোঃ আব্দুস সালাম তারই ছেলে মোঃ সেলিম রেজা (দুলাল)কে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর ডিলারসীপ নিয়ে দেয়ার মাধ্যমে চালাচ্ছেন বানিজ্য। চেয়ারম্যান থাকাকালিন ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ ছেলের নামে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর ডিলার হয়েছেন ছেলে। স্বেচ্ছাচারিতা এবং অনিয়ম করে তৈরী তালিকায় অনেক নামে-বেনামে কার্ডের চাল নিজেরাই ভোগ করছেন।

এমনকি তালিকায় একাধিক কার্ডের নিজেদের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে সেই চাল তুলে বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়া অব্যাহত রেখেছেন। সম্প্রতি সরকার খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর স্বচ্ছতা ও জবাবদীহিতার জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইন তালিকাভূক্ত করার নিয়ম চালু করেছেন।

সেখানেও প্রায় ১৫৬টি কার্ডের কোন হদিস মেলেনি। এছাড়াও নিজেদের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে অনেক নামের তালিকা দিয়ে নিজেরাই সুবিধা ভোগ করছেন খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর ডিলার সেলিম। অন্যদিকে, দরিদ্র এলাকা হলেও একই পরিবারে ২টি/৩টি এবং একাধিক খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর কার্ড দিয়েছেন অজ্ঞাত কারণে।

এতে বঞ্চিত হয়েছেন প্রকৃত অহসায়-দরিদ্র পরিবারগুলো। শাহজাহানপুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর তালিকায় মোট সুবিধোভোগীর সংখ্যা ১২৩৯ জন। এর মধ্যে শাহজাহানপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডেরই প্রায় ১৭৯ জনের মধ্যে ১৯ জনের ভূয়া নাম এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে অনিয়ম করা হয়েছে।

আর এই অনিয়ম ও ভূয়া কার্ড দিয়ে এখনও চলছে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর চাল উত্তোলন এবং বিক্রি।অন্যদিকে, ইউনিয়নে সেলিমের আওতায় থাকা অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোতেও অনেক অনিয়ম পাওয়া গেছে। ইউনিয়নে মোট ২ জন ডিলার এর মধ্যে একজন সেলিম রেজা, অন্যজন সিহাব আলী।

আরও জানা গেছে, বছরে ৫ বারে একটি কার্ডে ৩০ কেজি করে মোট ১৫০ কেজি চাল দেয়া হয় অসহায়-দরিদ্র পরিবারকে। তখন খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর চালের মূল্য ছিলো ১০টাকা কেজি। চালের দাম বৃদ্ধির ফলে এবছর খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর চালের দাম বাড়িয়ে ১৫ টাকা করা হয়েছে সরকারীভাবে।

যেন অসহায় পরিবারগুলো খুবই কম দামে চাল কিনে অভাব মেটাতে পারে। কিন্তু খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর ডিলার থেকে সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালাম এবং তার ছেলে মোঃ সেলিম রেজা (দুলাল) অনেক কার্ডের চাল নিজেরা তুলছেন এবং বেশী দামে বাইরে বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

এমনভাবে ভূয়া ও অনিয়ম তালিকায় বছরের পর বছর চাল বানিজ্য করে আসলেও খবর নেয়নি স্থানীয়
খাদ্য দপ্তর বা বিতরনকারী কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর এভাবে বাবা-ছেলের চাল ও অর্থ বানিজ্য করা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

খাদ্য দপ্তর বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজরদারী করলে, এমনটা সম্ভব হতো না কোনভাবেই। অনেকের মনে প্রশ্ন-তাহলে কি, যোগসাজসেই এভাবে চলছে বাবা- ছেলের খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর চাল বানিজ্য?। এব্যাপারে শাহজাহানপুর ইউনিয়নের ভূক্তভোগী কার্ড নম্বর-৬৪ জহরুল, মেয়ে-(সুমাইয়া) ১৬১, চেনুয়ারা-১৬৪, কার্ড-৬৭ ও ৬৮ সফিকুল, ৮৩ বেলাল-স্ত্রী উত্তরা খাতুন-স্বামী(ফেকন) ১৪২ অভিযোগ করে জানান, আমাদের নামের কার্ডটির চাল আমরা পেয়েছি।

এছাড়া বাকি কার্ডগুলোর চাল চেয়ারম্যান ও তাঁর ছেলে ডিলার দুলাল নিজেরাই ভোগ করেছেন। তাঁরা জানান, আমাদের পরিবারের নামের কার্ডগুলোর বিষয় আমরা কিছুই জানতাম না। চেয়ারম্যান, ডিলার, ট্যাগ অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট অফিসের জড়িতরাই ভাগবাটোয়ারা করে ভোগ করেছে।

স্থানীয়দের ধারণা, চাঁপাইনবাব গঞ্জ খাদ্য দপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালাম এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার তার ছেলে মোঃ সেলিম রেজা (দুলাল) কয়েকবছর ধরেই এই অর্থ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের গরিবদের ভাগ্য এরকমই।

দরিদ্র পরিবারের জন্য বরাদ্দ হওয়া চাল দূর্ণীতিকারীদের অবশ্যই বিচার হওয়া দরকার। এছাড়াও একই বাড়িতে স্বামী আজাদ আলী-২১, স্ত্রী-১১৭৪। রুপসী-৮৫, স্বামী জিয়ারুল, একই মহিলা ফাতেমা নামে স্বামীর নাম পরিবর্তণ করে-১৬৫, ফাতেমা (স্বামী-রুহুল আমিন) নামে সাবেক চেয়ারম্যানের মোবাইল নমবর ব্যবহার করে-১৪৫। এরফান-৭৫, স্ত্রী হানেফা-১২৩২। আসগর আলী-১১৮৪, স্ত্রী রোকসানা-১৬৯।

আফজাল-১২৩৭-স্ত্রী ফেদৌসী-৪২ নম্বর কার্ড। এছাড়াও ইউনিয়নব্যাপী নানা নামে-বেনামে খাদ্যবান্ধব চালের কার্ড রয়েছে বলেও জানা গেছে। শাহজাহানপুর ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, সরকারী দায়িত্বের অংশ হিসেবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল বিতরণ কাজ তদারকি করি। আমার আগের ট্যাগ অফিসার মমতাজুর রহমানের সময়ে এই তালিকাগুলো করা হয়।

সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের সময়ে করা তালিকার বিষয়ে আমার তেমনভাবে জানা নেই। সর্বক্ষন তদারকি করাও সম্ভব হয় না, কৃষি বিভাগের কাজগুলো করতে গিয়ে। তদারকির সঠিক দায়িত্ব বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আসলে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সাথে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বললেও কোন কথাই জনপ্রতিধিরা কর্ণপাত করেন না।

সব মিলিয়ে যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে সেটা সংশোধন হওয়া দরকার। তবে স্থানীয় বেশকিছু সুত্র জানায়, ট্যাগ অফিসার আমিনুল ইসলাম সবকিছু জেনেই মাস্টাররুলে স্বাক্ষর করেন সেলিম রেজা দুলারের
কাছ থেকে ভাগের অর্থ নিয়েই। দীর্ঘদিনের এই অণিয়ম ও ভূয়া তালিকায় উত্তোলন হওয়া চালেরভাগবাটোয়ার সাথে সরাসরি জড়িত ট্যাগ অফিসার আমিনুল ইসলাম।

এছাড়া উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে কৃষি উপকরণ ও সামগ্রী বিতরণে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে বলেও স্থানীয় সুত্রটি জানায়। শাহজাহানপুর ইউপি’র ১নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবু তাহের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমার ওয়ার্ডে একই নামে ৩টি, ২টি এবং একাধিক খাদ্যবান্ধব চালে কার্ড দিয়ে চাল উত্তোলন করে নিজেরা ভোগ করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও তার ছেলে। এসব কার্ড অনলাইন করার সময় এগুলো ধরা পড়ে। অনিয়ম হওয়া এসব কার্ড সংশোধন করা হলে প্রকৃত পরিবারগুলো সরকারের খাদ্য বান্ধব চালগুলো পাবে এবং উপকৃত হবে।

এব্যাপারে সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ খাদ্য দপ্তরের অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর ডিলার তার ছেলে মোঃ সেলিম রেজা (দুলাল) কয়েকবছর ধরেই ২ শতাধিক কার্ডে অনিয়ম করে উত্তোলনকৃত চাল বিক্রি করে অর্থ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।

এতে আসল অহসায় দরিদ্র পরিবারগুলো বঞ্চিত হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ টাকার অর্থবানিজ্য করেছেন সাবেক চেয়ার ম্যানের ছেলে ডিলার সেলিম রেজা দুলাল। তিনি বলেন, এসব অনিয়ম দূর করে সঠিক তালিকা প্রণয়ন এবং দীর্ঘদিনের এই অবৈধ তালিকা থেকে প্রকৃত পরিবারগুলোকে বঞ্চিত করে চাল বাইরে বিক্রি করার বিষয়টির শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর ডিলার সেলিম রেজা দুলারের পিতা মোঃ আব্দুস সালাম জানান, ভুলবশত ইউনিয়নে ১০ থেকে ১২টি কার্ডে অমিল হয়ে থাকতে পারে। এছাড়া জেনে শুনে কোন অনিয়ম করা হয়নি। খাদ্যবান্ধব চালের কার্ডের বিষয়গুলো ট্যাগ অফিসার, চৌকিদারদের দিয়ে খোঁজ নেয়া হয়।

১৫৫ বা ২ শতাধিক কার্ডে অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাছেও তালিকা রয়েছে, কিছু কার্ডে গরমিল হতে পারে, এতগুলো নয়। আর গরমিলের কারণ হচ্ছে, হয়তো একই পরিবারের একটি কার্ড আমার কাছ থেকে নিয়েছে, আরেকটি মেম্বারের কাছ থেকে নিয়েছে। এভাবেই গরমিল হয়েছে। এছাড়া কোন প্রকার দূর্ণীতি বা অনিয়ম হয়নি। তদন্ত হলেই আসল তথ্য বের হয়ে আসবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফফাত জাহান জানান, সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কার্ড ও তালিকায় অনিয়মের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক তথ্য জানানোর বিষয়টি খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ক্ষমতায় থাকাসহ বর্তমান পর্যন্ত এভাবে বাবা ও ছেলে যোগসাজসে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর ডিলার থেকে বছরে প্রায় ৮/১০ লক্ষ টাকা করে অর্থ হাতিয়েছেন, যা বর্তমান পর্যন্ত অর্ধকোটি টাকার মত।

ভূক্তভোগী, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যগণ, বর্তমান চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী, সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর ডিলার থেকে সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালামের ছেলে সেলিম রেজা (দুলাল) এর ভূয়া নাম ও মোবাইল নম্বর দিয়ে তৈরী তালিকা সংশোধন করে প্রকৃতভাবে প্রাপ্ত পরিবার কে খাদ্যবান্ধব কর্ম সুচীর চাল প্রদান, অনিয়মের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া এবং স্বেচ্ছাচারী ও অনিয়মকারী খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর ডিলার সেলিম রেজা (দুলাল) এর ডিলারসীপ বাতিল করে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার।

এছাড়াও দরিদ্র বান্ধব বর্তমান সরকারের আসল উদ্যেশ্য সফলের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, এমনটায় আশা ভূক্তভোগীদের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here