ডান দিকে একাই বল নিয়ে এসে ৬৯ মিনিটে ক্রোয়েট ডিফেন্সকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে লিওনেল মেসি যেভাবে বল বানিয়ে দিয়েছেন, এক কথায় সেটিকে বলা যায় আউট অব দ্য ওয়ার্ল্ড পারফরম্যান্স। মেসির জাদু আর দুরন্ত আলভারেজে লুক মদরিচের ক্রোয়েশিয়াকে উড়িয়ে স্বপ্নের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা।
মেসির দেড়যুগের ফুটবল ক্যারিয়ারে আক্ষেপ হয়ে আছে একটি বিশ্বকাপ ট্রফি। তিন বিশ্বকাপের মধ্যে দ্বিতীয় বার সেই রূপকথার ফাইনালে নাম লিখিয়েছে আলবিসেলেস্তারা। ১৮ ডিসেম্বর ফ্রান্স-মরক্কো ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে লড়বেন মেসিরা। এবার শুধু ট্রফিটা নিজেদের করে ফেলা।
মঙ্গলবার লুসাইল স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা। জোড়া গোল করেন আলভারেজ। দুটির পেছনেই অবদান মেসি। পেনাল্টি থেকে বাকি গোলটি করেন মেসি নিজেই।
৩১ মিনিটে গোলরক্ষক লিভাকোভিচ আলভারেজকে ফাউল করলে পেনাল্টি দেন রেফারি। হলুদ কার্ড দেখেন গোলরক্ষক। প্রতিবাদ করতে এলে কোভাচিচ। ডান দিকে দারুণ শটে গোল দিয়ে এগিয়ে দেন মেসি।
বিশ্বকাপে এটি তার পঞ্চম গোল। এ ছাড়া সব মিলিয়ে ১১ গোল দেন তিনি। শুধু তাই নয় একটি রেকর্ডও গড়েছেন ফুটবল জাদুকর। ১৯৬৬ বিশ্বকাপ থেকে তিনিই প্রথম ফুটবলার যিনি বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচে গোল করেছেন এবং নিজে করিয়েছেন।
মেসির পর আলভারেজের গোল। ৩৯ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল দেন তিনি। ২-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠের একটু সামনে মেসি থেকে বল পেয়েই ভোঁ দৌড় দেন আলভারেজ। তাকে আটকাতে পারেননি ক্রোয়েশিয়ার কোনো ডিফেন্ডার। গোলরক্ষকের খুব কাছে গিয়ে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ব্যবধান বাড়ান দিগুণ।
প্রথমার্ধ শেষে দুই গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো নক আউট পর্বের প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া ৪টি শট নিলেও একটিও অন টার্গেট ছিল না। বিরতি থেকে ফেরার পর ৬৯ মিনিটে মেসির চোখ ধাঁধানো অ্যাসিস্ট দেখে ফুটবল বিশ্ব। মেসি ডানদিকে বল পেয়েই এগিয়ে আসেন ডি বক্সের দিকে। পাশে দুজন থাকলেও মেসিকে থামাতে পারেনি ক্রোয়েশিয়ার কোনো ডিফেন্ডার।
একদম লাইনের পাশ থেকে গোলমুখে অসাধারণ পাস দেন মেসি। সেখানে থাকা আলভারেজ আলতো টোকায় জড়িয়ে দেন জালে। ৩-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানেই জিতে আর্জেন্টিনা।