আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বাড়াতে হবে। আমরা ইভিএমের পক্ষে এবং এটি জোরালো ও স্পষ্ট।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ দিন বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা শুরু হয়। সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন সিইসি। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া শুরু হলে প্রথমেই আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল বক্তব্য দেন।
এ সময় আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে ব্যবহারের জন্য সিইসির প্রতি আহ্বান জানায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এছাড়া জনপ্রিয় ও সহজে ব্যবহারের লক্ষ্যে এখন থেকেই ইভিএমের প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ নিতে পরামর্শ দেয় দলটি।
এ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে ইভিএমের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করতে আমরা সিইসির কাছে আহ্বান করছি। আমরা মনে করি, দেশে ইভিএম পদ্ধতি অধিকতর জনপ্রিয়। এটি সহজে ব্যবহার করার লক্ষ্যে ইসি এখন থেকেই প্রচার-প্রচারণায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
আজকের সভায় আমন্ত্রিত ১৩টি দলের মধ্যে ১০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। অংশ নেওয়া দলগুলো হলো- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- ন্যাপ, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।
এ দিন গণফোরামের প্রতিনিধিরাও বৈঠকে অংশ নেন, যদিও তাদের আমন্ত্রণ ছিল ২১ জুন। কিন্তু সেদিন দলটি আসতে পারেনি। অন্যদিকে, আমন্ত্রণ পেয়েও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ সভায় অংশ নেয়নি।
এর আগে, দুই ধাপে ২৬টি রাজনৈতিক দলকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানায় ইসি। গত ১৯ ও ২১ জুন দুই ধাপে ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের ইভিএম যাচাইবিষয়ক সভা করে ইসি। এই দুই ধাপে ১৮টি দল উপস্থিত থাকলেও সাড়া দেয়নি বিএনপিসহ অন্য আটটি দল।