সফিক-উল-ইসলাম। সদ্য বিদায় নেয়া ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী কর্মকর্তা। অত্যন্ত মেধাবী, কর্মঠ, বিনয়ী এবং ধর্মভীরু ব্যক্তিত্ব। যোগদানের অল্প কিছূ দিনের মধ্যেই তিনি নিজ মেধায় সকল সহকর্মীদের প্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেন।
গত ৩১ আগষ্ট ২০২২, বুধবার, তার নতুন কর্মস্থলে যোগদানের উদ্দেশ্যে আমাদের সকলে কাছ থেকে বিদায় নিলেন। প্রত্যেকটি বিদায়ই বেদনাদায়ক। হোক সেটা ক্ষণস্থায়ী। তবু-সখা আখি জলে বাবিধারা ঝড়ে—এই শ্রাবণে ।
বুধবার সারা দিন আমরা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সকলেই সফিক সাহেবের ভালবাসার স্মৃতি স্পর্শে আপ্লুত ছিলাম। মনে মনে কেউ বলছিলাম-‘যেতে নাহি দিব হায়, তবু যেতে দিতে হয়.. । কেউ, ‘এ দেখাই শেষ দেখা নয়… । কেউবা. ‘এ বাধন যাবেনা খুলে…।
আমাদের এই সমাজ সংসারের সকলই চলমান। কোন কিছুই স্থীর নয়। চক্রকারবৃত্তে সমান তালে ঘুরছে। মানুষ পৃথিবীর তটস্থ্যজীব মাত্র। জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে তাকেও প্রতিনিয়ত স্থানান্তর হতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের ভাললাগা, ভালবাসা এই চক্রাকাবৃত্তের উর্ব্ধে যা আকৃতি বা স্থায়ীত্বে পরিশুদ্ধ। সফিক সাহেব আমাদের স্থায়ীত্ব, ভাললাগা ও ভালবাসার মানুষ হয়ে আজীবন স্মৃতির পাতায় ভাস্কর্য হয়ে থাকবেন।
আমাদের এই মানব দেহ পঞ্চভূতিক। কিন্তু জীবনের প্রসার-বিকাশ, কর্ম এবং চারিত্রিকদৃঢ়তায় শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে যা সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। এই দিক থেকে সফিক সাহেবের কর্মব্যস্ততা, দক্ষতা এবং চারিত্রিকদৃঢ়তা, আমাদের সকলের প্রাণবায়ূ। আমরা আজকের এই দিনে তার সার্বিক জীবনের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস, ড্যাফোডিল আন্তজার্তিক বিশ্ববিদ্যালয়।