শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥ শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডামুড্যা জোনের ইসলামপুর এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভূতুরে বিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রাহক। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ৬০ নং ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে শত শত গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল হাতে নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন থেকে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকগন জানায়, ইসলামপুর এলাকার ৮ শতাধিক গ্রাহকের হাতে জুলাই মাসের বিদ্যুৎবিল পৌঁছেছে। জুন মাসে তারা যে বিল পরিশোধ করেছেন জুলাই মাসে তার চাইতে ৪ থেকে ৬ গুণ বিল বেশী ধরা হয়েছে।
গ্রাহক আবু সিদ্দিক মাদবরের জুন মাসে ২১৩ টাকা এবং জুলাই মাসে ১২০৮ টাকা বিল আসে। সিরাজ বাঘার জুনে ২৯৬ টাকা ও জুলাইতে ৮৬১ টাকা, খোকন মাদবরের জুনে ৪২১ জুলাইতে ১৭৬১ টাকা, আবু সাঈদ মাদবরের জুনে ৩২০ জুলাইতে ৭৯৮ টাকা বিল ধার্য্য করা হয়েছে। এমনি ভাবে ৮ শতাধিক গ্রাহক হয়রানীর শিকার হচ্ছেন।
গ্রাহকরা মানববন্ধন থেকে জানায়, তারা খেটে খাওয়া মানুষ। বিদ্যুৎবিল নিয়ন্ত্রণে রাখতে লাইট ও ফ্যানের ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন। পূর্বের চাইতে এখন লোডশেডিংও বেশী হয়। তাছাড়া তাদের পূর্বের কোন বিদ্যুৎ বিল বাকি নাই।
জুলাই মাসে এসে ৬ গুণ বিদ্যুৎ বিল কিভাবে আমরা পরিশোধ করব। আমরা পল্লী বিদ্যুতের এই কারচুপি কিছুতে ই মেনে নিব না। বিল সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুতের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
ইসলামপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান দীন মোহাম্মদ দুলাল মাদবর বলেন, আমার মিটারে জুন মাসে ৪০০ টাকা বিল আসে আর জুলাইতে আসে ১৮০০ টাকা। এমনি ভাবে সকল গ্রাহকের বিল ৬ গুণ পর্যন্ত বেশী এসেছে।
ভুলবশত হতো তাহলে ১-২টা হতো পারতো। পল্লী বিদ্যুৎ ইচ্ছা করে এই কাজটা করেছে। যারা দীনমজুর, দিন আনে দিন খায় তারা এই বিল কিভাবে পরিশোধ করবে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিলের ঝামেলা মিটিয়ে ফেলবেন। গ্রাহকদের হয়রানী করবেন না।
শরীয়তপুর পল্লী বিদুৎতের জেনারেল ম্যানেজার জুলফিকার রহমান বলেন, সফটওয়্যারে টেকনিক্যাল সমস্যা হওয়ায় একটি বইয়ের সকল গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল বেশী হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য জোনাল অফিসকে বলা হয়েছে। অল্প সময়ে মধ্যে বিষয়টি সমাধান করা হবে।