তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার স্বাস্থ্য, জাতীয় অর্থনীতি ও পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। কার্যকর তামাক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাংলা দেশ সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন, আইন বাস্ত-বায়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
২০১৬ সালে ‘সাউথ এশিয়ান স্পীকার্স সামিট’-এ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কে তামাকমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবেন।
ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট (ভ্যাপিং, ই-সিগারেট) এর আবির্ভাবের পর থেকে বিশ্বব্যাপী তামাক ব্যবহারের পদ্ধতি, বিপণন এবং কৌশল প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত -২০১৯ এ, ই-সিগারেটকে সুনিশ্চিতভাবে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ই-সিগারেট ব্যবহার লক্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বিশেষ করে শিশু, কিশোর ও যুব সমাজের মধ্যে।
গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে-২০১৭ অনুসারে, ৬.৪% প্রাপ্ত বয়স্ক কখনো ই-সিগারেটের কথা শুনেছেন এবং ০.৪% কোন না কোন সময় ই-সিগারেট ব্যবহার করেছেন এবং ০.২% হলেন বাংলাদেশে ই-সিগারেটের বর্তমান ব্যবহারকারী।
ই-সিগারেট ব্যবহারকারীরা নিকোটিনের সংস্পর্শে আসে যা কিশোর
মস্তি-ষ্কের বিকাশের ক্ষতি করতে পারে এবং গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের বিকাশ কে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
ই-সিগারেটে অ্যাসিটালডিহাইড(সম্ভাব্য কার্সিনোজেন), ফর্মালডি হাইড (পরিচিত কার্সিনোজেন), অ্যাক্রোলিন (টক্সিন) এবং নিকেল, ক্রোমিয়াম এবং সিসার মতো ধাতুসহ কমপক্ষে ৮০ টি অন্যান্য ক্ষতিকারক উপাদান রয়েছে।
২০০৫ সালের ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ও ২০১৩ সালের সংশোধিত আইনে ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।
ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ ৫০ টিরও বেশি দেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ হলেও আমাদের দেশের তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেটের ব্যবহার ক্রমশ সাধারণ হয়ে উঠছে।
একারণে বাংলাদেশে ই-সিগারেটের প্রকৃত চিত্র সম্পর্কে ধারণা পেতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস্ধসঢ়;-এর কারিগরি সহায়তায় ঢাকা শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর ই-সিগারেটে ব্যবহার বিষয়ক একটি গবেষণা পরিচালনা করেছে।
ঢাকা শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর গবেষণা জরিপ:
২০২০ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে এই গবেষণা জরিপের জন্য ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ২৩ ছাত্রদের মধ্যে তিনটি ফোকাসড গ্রুপ ডিসকাশন (ঋএউ) পরিচালিত হয়।
এতে যে শিক্ষার্থীরা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শেষ ৩০ দিনে নিয়মিত ই-সিগারেট ব্যবহার করত তারা অংশ নেয়।