০৭ ডিসেম্বর, ২০২২ইং বুধবার বীরগঞ্জ শাখা অফিস হলরুম, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর-এ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহায়তায় এবং বিশ্ব ব্যাংক এর অর্থায়নে বাস্তবায়ন সহযোগী সংস্থা ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) কর্তৃক আয়োজিত সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) এর উপ প্রকল্পঃ হাস্কিং মিলের পরিবেশের দূষণ কমানোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের প্রচলিত খাবার হিসেবে ফুল গ্রেইন চাল প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থানীয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বাজার সংযোগ কর্মশালা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফিরোজ আহমদ মোস্তফা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর, মোঃ আবু বককর সিদ্দিক (আবু), প্রজেক্ট ম্যানেজার (ইএসডিও-এসইপি), মোঃ কামাল হোসেন, শাখা ব্যবস্থাপক, বীর গঞ্জ শাখা, বীরগঞ্জ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, এম এ কাহার বকুল, এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট অফিসার, ইএসডিও-এসইপি, দিনাজপুর।
প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ আবু বককর সিদ্দিক (আবু) উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সবার সাথে কুশলা দি বিনিময় করে সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) এর লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেন। এই প্রজেক্টের সদস্যদের মাধ্যমে কর্ম-পরিবেশ ঠিক রেখে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা ও পরিবেশ চর্চা গুলো নিশ্চিত করা। সবাইকে পরিবেশ চর্চাগুলো বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি সুন্দর পরিবেশে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে পুষ্টিকর ফুল গ্রেইন চাল উৎপাদন করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন
বীরগঞ্জ শাখার শাখা ব্যবস্খাপক উপস্থিত সবাইকে পরিবেশ চর্চার উপর গুরুত্ব দিয়ে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে পুষ্টিকর ফুল গ্রেইন চাল উৎপাদন করার পরামর্শ দেন ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে ব্যবসা প্রতি-ষ্ঠান পরিচালনা করার আহ্ববান জানান।
অতিথি ফিরোজ আহমদ মোস্তফা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর বলেন, ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে বেশি ব্যভহার না করে পরিমিত পরিমাণে রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হবে। তিনি বলেন বর্তমান বাজারে চকচকে চালের সয়লাব হওয়ায় সাধারণ মানুষ তা কিনতে আগ্রহী হচ্ছে। কিন্তু ফুল গ্রেইন চাল হাস্কিং মিলে প্রক্রিয়াজাতকৃত ও স্বাস্থ্য সম্মত।
হাস্কিং মিলের চাল নিরাপদ উপায়ে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে কিভাবে উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে হবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়াও প্রকৃতিকে ফিরিয়ে আনার জন্য জমিতে গোবর, ছাই ও জৈব্য সারের পরিমাণ বাড়াতে হবে তাহলে আমরা নিরাপদ খাবার পাবো কেননা বেশি পরিমাণে রাসায়নিক স্যার ব্যবহারের ফলে খাবারগুলো অনিরাপদ হচ্ছে।
সর্বোপরি তিনি ইএসডিও কে এই প্রকল্প গ্রহণের ধন্যবাদ জানান এবং সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ আবার এই পুষ্টিকর ফুল গ্রেইন চাল খাওয়া এবং পরিবেশ চর্চা বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত ভাবে উপকৃত হবে। তিনি স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সাথে দেশের বিভিন্ন জেলার চাল আড়ৎদারের সাথে সংযোগ স্থাপনের পরামর্শ প্রদান করেন।
তিনি পিকেএসএফ ও ইএসডিওকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান, পরিবেশ নিরাপদ রেখে ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রেখে কর্ম-পরিবেশ সৃষ্টি করে এই ফুল গ্রেইন চাল প্রকল্প হাতে নেওয়ার জন্য। পরিশেষে তিনি উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশিক্ষণের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।