গ্যাস সংকটে বেড়েছে জ্বালানি লাকড়ির চাহিদা !

0
54

মো: সহিদুল ইসলাম শিপু: নারায়ণগঞ্জ বন্দরে গ্যাস সংকটে বেড়েছে জ্বালানি লাকড়ির চাহিদা। লাকড়ির চাহিদা রাড়ায় এখন পাড়া মহল্লার মুদির দোকানেও বিক্রি হচ্ছে লাকড়ি।

তবে লাকড়ির চাহিদা বৃদ্ধিতে ক্রেতাদের লাকড়ি ক্রয় করতে গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ টাকা। আবাসিক গ্যাস সংযোগ গুলোতে প্রায় এক বছর যাবত গ্যাস নেই তাই রান্নাকরার জন্য বাধ্য হয়ে জ¦ালানি লাকড়ি ব্যবহার করতে হচ্ছে বলে জানতে পারা যায়।

২৫ জানুয়ারী (বুধবার) বন্দর বিভিন্ন এলাকায় গুরে দেখাযায় পাড়া মহল্লার মোড়ে মোড়ে গড়ে উঠেছে লাকড়ির দোকান কোন কোন এলাকায় মুদির দোকানেও বিক্রি হচ্ছে জ¦ালানি লাকড়ি।

লাকড়ির দোকানে লাকড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬শ থেকে ৭শ টাকা মন এবং ৩৮ কেজিতে ধরা হচ্ছে এক মন। আবার মুদির দোকান গুলোতে লাকড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৭ টাকা কেজি। ক্রেতারা বাধ্য হয়ে চরা দামেই ক্রয় করছে লাকড়ি।

লাকড়ি বিক্রেতা মামুন জানায়, বর্তমানে গ্যাস সংকটে লাকড়ির চাহিদা বেড়েছে, চাহিদা বারায় লাকড়ির দামও বেড়েছে। গত বছর যে লাকড়ি আমরা ৩শ টাকায় বিক্রি করতাম সেই লাকড়ি এখন ৬শ ৭শ টাকায় বিক্রী করতে হচ্ছে কারন বিদুৎ বিল গাছের দাম ও লেভারের মুজুরি বেড়েছে।

এসময় লাকড়ির ক্রেতা গৃহিণী আফরুজা আক্তার মুক্তা বলেন, বাসায় গ্যাস নাই, গ্যাসের বোতল মাসে দু:ই থেকে তিনটা লাগে একজনের উপার্র্র্জন আর কোলানো যায় না, তাই লাকড়ি নিতে এসে দেখি ৩৮ কেজি লাকড়ির দাম ৭শ টাকা। এখন কি করার বেসি দাম দিয়েই লাকড়ি নিতে হবে কারন রান্না করে খেতে তো হবে।

সরকারের কাছে অনুরোধ করি গ্যাসের সমস্যা সমাদান করতে না পারলে গ্যাস বিল নেওয়া বন্ধ করে দেন, বিল নেওয়া বন্ধকরলেও মাসে ১২শ টাকা বাচবে।

এসময় আরেক লাকড়ি ক্রেতা শাহিন বলেন, মাসে গ্যাস বিল ১২শ টাকা, গ্যাসের বোতল মাসে দু:ইটা ২৭শ থেকে ২৮শ টাকা মাসে ৪ হাজার টাকা লাগে গ্যাসের জন্য তার পরও ঠিক মত রান্না হয় না।

মাসের পর মাস গ্যাস বিল দিচ্ছি গ্যাস ব্যবহার না করে। তাই ঠিক করেছি আমার বৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে লাকড়ির চুলায় রান্না করবো।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here