গ্যাস সংকটে চাহিদা বেড়েছে ইলেকট্রিক চুলার

0
207

মো: সহিদুল ইসলাম শিপু: নারায়ণগঞ্জ বন্দরে গ্যাস সংকটে চাহিদা বেড়েছে ইলেকট্রিক চুলার। বেশ কয়েক বছর ধরে আবাসিক সংযোগ গুলিতে গ্যাস না থাকায় এবং এলপিজি গ্যাস ও জালানী লাকরির ধাম বৃদ্ধি হওয়ায় বাসাবাড়িতে রান্নার জন্য সহজ উপায় হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে এ ইলেকট্রিক চুলা।

ইলেকট্রিক চুলার ব্যবহার বেশি হলে বিদ্যুৎ এর ঘাটতি পরবে বলেন জানান বিদ্যুৎ কর্মকর্তা। ইলেকট্রনিক্স দোকান গুলির তথ্য মতে গত ১৫ দিনে ইলেকট্রিক চুলা বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টিরও বেশি।

ইলেকট্রিক চুলার ক্রয় করতে আসা ব্যাক্তি বোরহান উদ্দিন বলেন, গ্যাস না পেয়েও আমরা গ্যাসবিল দিচ্ছি, রান্নার জন্য মাসে এলপিজি বতল লাগে ২ থেকে ৩ টা, আর পারি না। পাশের বাসার করিম ভাই ইলেকট্রিক চুলায় রানা করে মাসে ৭ থেকে ৮ শত টাকা বিল উঠে বলে জানালো, তাই আমি এই চুলা নিতে এসেছি।

গৃহীনি আফরুজা বেগম বলেন, বাচ্চার বাবা একটা কম্পানিতে চাকরি করে মাসে ১৮ হাজার টাকা বেতন পায়। ঘড় ভাড়া বিদ্যুৎ বিল যায় সাত হাজার টাকা বাচ্চাদের পড়া লেখার পেছনে যায় তিন হাজার টাকা।

মাসে দুইটা গ্যাসের বোতল লাগে সেখানে তিন হাজার পাঁচশত টাকা লাগে থাকে চার হাজার পাঁচশত টাকা বলেন বর্তমানের বাজারে পরিবারের চারজন মানুষকি এই টাকায় খাবার হয়? তাই একটু সাশ্রয়ের জন্য এই ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার করি শুনছি এই চুলায় নাকি মাসে ৬ থেকে ৭ শত টাকা বিল আসে।

এব্যাপারে বন্দরের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স দোকানে কথা বললে তারা জানান, বর্তমানে ইলেকট্রিক চুলার চাহিদা অনেক বেরেছে। বিভিন্ন কোয়ালিটির এই চুলা আছে যা ৩৬শ থেকে ৪৬শ টাকার মধ্যে পাওয়া যায় এবং বিদ্যুৎ বিলও কম আসে তাই হয়তো এই চুলার চাহিদা বেরেছে। গত ১৫ দিনে আমাদের এখানে ৩৫০ টির বেশি চোলা বিক্রি হয়েছে যা আগে কখনো হয়নি।

এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ বন্দর জোনাল অফিস এর ডিজিএম স ম মিজানুর রহমান বলেন, ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহারে বিদ্যুৎ এর ঘাটতি পরবে কারন এই চুলা গুলোতে যে হিটার এতে অনেক বেশি মাতায় বিদ্যুৎ খরচ হয়ে থাকে। আর এই চুলা প্রতিটি মহলার বাসা বাড়িতে ব্যবহার হলে প্রচোর বিদ্যুৎ ব্যবহার হবে এর ফলে আমাদের বিদ্যুৎ এর ঘাটতি পরবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here