চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ দুয়ারে কড়া নাড়ছে দেবী দুর্গার আগমন বার্তা। মহালয়ার ভোরে চ-ীপাঠ শোনার অপেক্ষায় ভক্ত কূল। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চাঁপাই নবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় ৩০ টি মন্ডপে পূজিত হবে দেবী দূর্গা।
এর মধ্যে রহনপুর পৌর এলাকায় ৬টি, গোমস্তাপুর ইউপিতে ৪টি, চৌডা লায় ৬টি, বোয়ালিয়ায় ১টি, আলিনগরে ১টি, বাঙ্গাবাড়ীতে ২ টি, রহনপুর ইউপিতে ২ টি, রাধানগরে ৫ টি ও পাবর্তীপুরে ৩ টি। উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, জোরে শোরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। কারিগরেরা দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে অধিকাংশ প্রতিমার মাটির কাজ শেষ হয়েছে।
শুরু হয়েছে রং- তুলির আঁচড়। এরপর ঢাকঢোল পিটিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী চলবে দুর্গোৎসব। ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে শারদীয় দুর্গাপূজার মূলআনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
কারিগররা তাঁদের নিপুণ হাতের ছোঁয়া দিয়ে দিন-রাত কাজ করেই চলেছেন। তাঁদের হাতের শৈল্পিক ছোঁয়ায় যেন জীবন্ত হয়ে উঠছে প্রতিমা। তবে এবার স্থানীয় কারিগর পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সেই সঙ্গে প্রতিমাপ্রতি ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। প্রতিমা কারিগর অজয় পাল জানান, ভিন্ন ভিন্ন এক সেটের মজুরি নিচ্ছেন ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
একটি সেট তৈরিতে প্রায় ১০ দিন সময় লাগে। এতে দুর্গার সঙ্গে রয়েছে অসুর, সিংহ, মহিষ, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক ও লক্ষ্মীর প্রতিমা। বাংলা দেশ পূজা উদ্ধসঢ়;যাপন পরিষদ গোমস্তাপুর উপ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডলার কুমার সাহা বলেন, প্রতি বছরের মতো ধর্মীয় সম্প্রতি বজায় রেখে সার্বজনীন এই উৎসব পালিত হবে।
উৎসবকে কেন্দ্র করে ম-প কমিটিগুলো এখন প্রতিমা স্থাপনের কাজ করছে।