এইচএসসি সমমানের পরীক্ষায় সবাই পাশ

0
266
দেশে এইচএসসি অর্থাৎ উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় সারা দেশের সাড়ে তের লাখের বেশি পরীক্ষার্থীর সবাইকেই পাশ করিয়ে দেয়া হয়েছে। গত বছর যে পাবলিক পরীক্ষাটি করোনাভাইরাস মহামারির কারণে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি, সেটির পরীক্ষা নেয়া ছাড়াই ফলাফল প্রকাশ করা হল।

মূলত, জেএসসি ও সমমান এবং এসএসসি ও সমমান এই দুটি পাবলিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে সব শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল গড় মূল্যায়ন করা হয়েছে। এভাবে ফল প্রকাশের জন্য অবশ্য কয়েকটি আইনও সংশোধন করতে হয়েছে সংসদে। গত সোমবার এই সংশোধিত আইন গেজেট আকারে প্রকাশ পায়।

আগেই বলা হয়েছে, ফলাফল প্রকাশ করা হবে অনলাইনে, যেন কোন শিক্ষার্থী ফল আনতে স্কুলে না যায়। শনিবার সকালে ঢাকার সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে এই ফল ঘোষণা করা হয়। গণভবন থেকে এক অনাড়ম্বর ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে কম্পিউটারের মাউস ক্লিক করে ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের যাতে একটি বছর নষ্ট না হয়ে যায়, সেজন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থায় ফল দিয়ে দেয়া হয়েছে।এর আগে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ার ম্যানরা শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির হাতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল তুলে দেন।

সব মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন। গত বছরের এপ্রিল মাসে এই শিক্ষার্থীদের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়।

পরীক্ষা না হওয়ার কারণে এই পরীক্ষার্থীদের একজনও অকৃতকার্য হননি। মূলত, জেএসসি/সমমানের ২৫% এবং এসএসসি/সমমানের ৭৫% ফল বিবেচনায় নিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের গড় ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া গত বছর যারা এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছেন, সেসব শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নও হয়েছে একই পদ্ধতিতে।

আগের দুটি পাবলিক পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক গড় নম্বরের ভিত্তিতেই মূলত এইচএসসি ও সমমানের বিষয়ভিত্তিক গড় ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। এবার কোনও বিষয় বাদ দেওয়া বা নম্বর কমিয়ে মূল্যায়ন করা হয়নি।

এরপরও ফলাফল নিয়ে কোন শিক্ষার্থীর সন্দেহ থাকলে সেটা রিভিউ চেয়ে আবেদন করার সুযোগ আছে। (বিবিসি)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here