ইমরান খানের ভবিষ্যৎ এখন সুপ্রিম কোর্টের হাতে !

0
60

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভবিষ্যৎ এখন সুপ্রিম কোর্টের হাতে। তার বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট আটকাতে রোববার তার দল পিটিআই পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়, এবং  আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন।

ক্ষিপ্ত বিরোধী জোট সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। এখন জানা যাচ্ছে যে পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়া বৈধ ছিল কিনা তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মঙ্গলবার রায় দিতে পারে।

ইমরান খান অভিযোগ করছেন তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য এই অনাস্থা ভোট আমেরিকানদের একটি চক্রান্ত, যদিও যুক্তরাষ্ট্র এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এর আগে রবিবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে একটি অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট হওয়ার কথা থাকলেও – যেই ভোটে তিনি শোচনীয় ভাবে পরাজিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল – পার্লামেন্টের স্পিকার কাসিম সুরি বিরোধী দলগুলোর জোটের অনাস্থা ভোট করার দাবি নাকচ করে দেন। পরে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেন।

পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দায়িত্ব নেয়ার সাড়ে তিন বছরের মাথায় মন্ত্রিসভা বাতিল করে দিয়েছেন। অনাস্থা ভোট আয়োজনের প্রক্রিয়াকে ‘সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশী ষড়যন্ত্র’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইমরান খান।

পাকিস্তান রাষ্ট্রের উত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির কোনো প্রধানমন্ত্রী তার মেয়াদের পুরোটা সময় দায়িত্বে থাকতে পারেননি। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলোর জোট স্পিকার ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রমকে অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

বিরোধী দলগুলোর জোট বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের রাস্তা উপায় খুঁজতে যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে। রবিবার মন্ত্রিসভা রদ হওয়ার পর মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় যে ইমরান খান আর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না।

তবে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মন্ত্রী নিয়োগ পাওয়ার আগ পর্যন্ত ইমরান খানই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও বিরোধী জোটের নেতা শাহবাজ শরিফকে এরই মধ্যে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বাইরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি জানান যে এই পরিস্থিতিতে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডাকা হতে পারে।

তিনি জানান প্রধান বিচারপতির বিশেষ ক্ষমতা অনুযায়ী তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন যে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডাকা হবে কিনা।

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটিতে সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধান কর্মকর্তারা রয়েছেন।

রবিবার পাকিস্তানের সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর মহাপরিচালক জেনারেল বাবর ইফতিখার বলেছেন যে রবিবার পাকিস্তানের সংসদে যা ঘটেছে তার সাথে সেনাবাহিনীর কোনো সম্পর্ক নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here