আদিল সরকার, ইবিঃ সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার আওতায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যা-লয়ে (ইবি) বিজ্ঞান অনুষদভূক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তিপরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় বেশ কয়েকটি কক্ষের দায়িত্বরত শিক্ষক দের বিরুদ্ধে শিক্ষাথীদের প্রবেশপত্রে স্বাক্ষর না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ভর্তি জটিলতা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন পরীক্ষার্থীরা।
এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগও করে-ছেন তাদের কয়েকজন। জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষায় হল পরিদর্শকের জন্য দেওয়া নির্দেশিকার শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে স্বাক্ষরের অর্ধেক অংশ ছবির উপর করার জন্য বলা হয়।
তবে নির্দেশিকায় এমন নির্দেশনা থাকলেও রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের ভবনের ১০২ নং কক্ষ এবং ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ২৪৪ ও ৪২৭ নং কক্ষের শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র স্বাক্ষর করেননি হল পরিদর্শকরা।
পরীক্ষা শেষে অন্যান্যদের প্রবেশপত্রে স্বাক্ষর দেখতে পেলে এনিয়ে দুশ্চি ন্তায় পড়েন এসব কক্ষের পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের এমন ভুলে ভর্তি জটিলতা সহ ভর্তি জালিয়াতির আশঙ্কা করছেন তারা।
৪২৭ নং কক্ষের ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী সাহারা বিনতে শরীফ জানান, ‘শিক্ষক রা আমাদের ওএমআর শীটে স্বাক্ষর করলেও কারো প্রবেশ পত্রে স্বাক্ষর করেননি। চান্স পাওয়ার পর এ প্রবেশপত্র নিয়ে ভর্তি হতে গেলে যদি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে এর দ্বায়ভার কে নিবে? এ নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় আছি।
না জানি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়।’ এদিকে প্রবেশ পত্রে স্বাক্ষরের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কয়েকজন হল পরিদর্শক জানতেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে ১০২ নং কক্ষের দায়িত্বরত শিক্ষক এম.এম.এ মুক্তাদির মনোয়ার আলী বলেন, ‘প্রবেশপত্রে সিগনেচার করার কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি।
ফলে সিগনেচার করিনি।’ তবে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভবনের ২৩৮, ২৩৯, ২৪০ এবং ২৪৪ নং কক্ষের সমন্বয়ক অধ্যা-পক ড. বাবলি সাবিনা আযহার বলেন, ‘শিক্ষকদেরকে প্রথমেই ভালভাবে নির্দেশিকা পড়তে বলেছি। এরপরেও তারা যদি না বুঝতো আমাকে জানাতে পারতো।
এ বিষয়ে ‘এ’ ইউনিটের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. আবদুস সামাদবলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলো ভিসির কাছে পাঠাবো। শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করার আরও অনেক সুযোগ আছে। আশাকরি বিষয়টি সমাধান করতে পারবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি এবং দু’টি অভিযোগ পেয়েছি। সামনের মিটিংয়ে এ সকল শিক্ষার্থীদের ভিতরে যারা চান্স পাবেন তাদের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাথে সমন্বয় করা হবে।
উল্লেখ্য, রোববার বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন সাতটি কেন্দ্রে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।