জাজিরায় অধিগ্রহণের টাকায় জমি কিনে চাঁদাবাজের কবলে বৃদ্ধ !

0
98

শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥ পদ্মাসেতু ও সেনানিবাসের জন্য জমি অধিগ্রহণ করায় ভিটেমাটি হারিয়েছে জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ফজলু মাদবর কান্দি গ্রামের বৃদ্ধ মজিদ চোকদার (৭২)। সরকার থেকে পাওয়া ক্ষতিপূরণের টাকায় উপজেলার ডুবিসায়বর এলাকায় জমি ক্রয় করেন তিনি। সেই জমিতে বাড়ি করতে গিয়ে চাঁদাবাজদের খপ্পরে পড়েছে এই বৃদ্ধ।

চাঁদা না দিয়ে বাড়ি করলে বৃদ্ধের জমি ও জীবন দুটোই হারানোর হুমকি চাঁদাবাজদের। উপায়ন্ত না দেখে পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছে এই বৃদ্ধ। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে বৃদ্ধের লিখিত আবেদন থেকে জানা গেছে, পদ্মাসেতু ও সেনানীবাসের জন্য সরকার বৃদ্ধের ৭ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করে নেয়।

অধিগ্রহণ থেকে পাওয়া ক্ষতিপূরণের টাকায় ডুবিসায়বর এলাকার রোস্তম বেপারী, নুরুল হক বেপারী ও রফিক মাদবরের কাছ থেকে ৩টি দলিলের মাধ্যমে পর্যাক্রমে ৪৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। সেই জমি ভড়াট করে বাড়ি করার উপযোগী করে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করে বৃদ্ধ মজিদ চোকদার। সেই জমিতে বাড়ি নির্মাণে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী আলমগীর হোসেন বেপারী।

তিনি রুস্তম বেপারী ও অন্যান্যদের সাথে নিয়ে বৃদ্ধের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেই চলছে। চাঁদা পরিশোধ না করলে বৃদ্ধকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বৃদ্ধ আঃ মজিদ চোকদার বলেন, ফসলি জমি ও বাড়িসহ আমার ৭ বিঘা জমি ছিল। সবই পদ্মাসেতু ও সেনানীবাসের জন্য অধিগ্রহণ করে নিয়েছে।

ডুবিসায়বর এলাকার রোস্তম বেপারী, নুরুল হক বেপারী ও রফিক মাদবরের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে নামজারী করাই। হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন করও পরিশোধ করেছি। জমি ভড়াট করে বাড়ি করার উপযোগী করে বাড়ির কাজ শুরু করতে যাই।

তখন স্থানীয় আলমগীর বেপারী, রুস্তম বেপারী আমার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে আমাকে হত্যা করে গুম করার হুমকি দেয়। চাঁদাবাজদের কবল থেকে রক্ষা পেতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here