জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ– ঝিনাইদহে প্রায় দুই মাস ধরে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী নিখোঁজ রয়েছে। দুই মাস পার হলেও তার কোনো খোঁজ খবর না পেয়ে প্রতিবন্ধী কিশোরীর পরিবার হতাশ হয়ে পড়েছে। নিখোঁজের পরে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। যার নাম্বার-৩৮। তারিখ ০১.০২.২০২২ ইং।
জিডি সুত্রে জানা গেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নগর বাথান এলাকার নেবুতলা গ্রামের চা দোকান মালিক নিয়ামত আলীর মেয়ে বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে সালমা খাতুন (১৪) গত ইং ৩০/০১/২০২১ তাং বিকালে কাউকে কিছু না জানাইয়া বাড়ী থেকে বের হয়ে আর বাড়ী ফিরে আসে নাই।
নিখোঁজের পরে দুইটি নাম্বার থেকে বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে সালমা খাতুনের পিতার ০১৯৬০-৯৫৬৪৩৫ নাম্বারে কল করে রাজবাড়ি হাসপাতালে আসতে বলে।
যদিও তার পিতা সেখানে গিয়ে ফোন নাম্বার বন্ধ পাই। সেখানে খুঁজে না পেয়ে অব-শেষে বাড়ি ফিরে আসে। আবার কয়েকদিন পরে আরেকটি নাম্বারে কল করে সালমা খাতুনের প্রতিবন্ধী কার্ড নাম্বার চাওয়া হয়েছিল। পরে দুইটা মোবাইলনাম্বারই বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
এবিষয়ে সালমা খাতুনের পিতা পুলিশের শিথিলতাকে দায়ী করে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন। হারানো জিডিটি তদন্ত করছেন ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই ইমদাদ হোসেন। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়ে-ছেন।
বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে সালমা খাতুনের দৈহিক বিবরণ-গায়ের রং শ্যামলা, মুখ মন্ডল গোলাকার, মাথার চুল কালো ও লম্বা, অনুমান ১৪ ইঞ্চি, উচ্চতা অনুমান ৫ ফুট ২ ইঞ্চি।
শারীরিক গঠন স্বাভাবিক, গায়ে/পরণে হলুদ রংয়ের স্যালোয়ার কামিজ, পায়ে বার্মিজ স্যান্ডেল। চোখ কান, নাক স্বাভাবিক। যদি কেউ বাক প্রতিবন্ধী সালমা খাতুনের খবর পেয়ে থাকেন তাহলে ০১৯৬০-৯৫৬৪৩৫ নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য তার পিতা নিয়ামত আলী অনুরোধ করেছেন।