জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ– রমজানকে ঘিরে ঝিনাইদহ জেলাজুড়েই নিত্যপণ্যে জ্বলছে আগুন। সেই আগুন নিভানোর কেউই নেই। নিত্য প্রয়োজনীও মুল্যের উর্ধ্বগতি যেন থামিয়ে দিচ্ছে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা।
চলছে সিয়াম সাধনার মাস। রমজানে বেড়েছে সকল ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। এই মুল্য বৃদ্ধি মানুষের দুর্ভোগের মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাজারে গিয়ে টাকার পরিমাণে সামঞ্জস্য না হওয়াই নির্ধারিত পরিমাণের থেকে কম পণ্য নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে অনেকেই। রমজানের দ্বিতীয় দিন ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় শশা, বেগুন, ধনিয়াপাতা, লেবু, মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে গড়ে দ্বিগুণ।
তবে স্বাভাবিক রয়েছে ছোলা ও পেয়াজের দাম। অন্যদিকে রমজানকে ঘিরে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০থেকে ৫০টাকা।
পবিত্র রমজানকে ঘিরে ২৫ টাকার শশা ৫০ টাকা,৩০ টাকার বেগুন ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, ৩০ টাকার ধনিয়াপাতা ৬০ টাকা,১০ কাগজি লেবু ২৫ টাকা, ৪০ টাকার কাঁচ মরিচ ৬০ টাকা, ১২ টাকা হালি পাকা কলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
বিভিন্ন প্রকার শিং, রুই, ইলিশ সহ মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে গড়ে ১০ টাকা থেকে ১শ’ টাকা। কাঁচা বাজার করতে আসা আশিকুর রহমান বলেন, রমজান শুরু হয়েছে কিন্তু বাজার দাম কমেনি বরং বেড়েছে। সব মালের দামে আগুন। আমরা চলবো কি করে।
বেগুন, মরিচ, শশা , লেবু সহ সব জিনিসের দাম বেড়েছে। পবিত্র মাসে দাম কমানো উচিৎ, অথচ বাজারে দাম বেড়েই যাচ্ছে। এভাবে তো চলতে পারে না। পণ্য মুল্যের কাছে হার মেনে যাচ্ছি।
একাধিক ভুক্তভোগী জানায় বাজারে জিনিষের দামের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের নজরদারি জরুরী ভাবে প্রয়োজন। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা প্রতি বছরই এমন সুযোগ কাজে লাগায়।
বিপণন কর্মকর্তা (মার্কেটিং অফিসার) জানান, ইতোমধ্যেই বাজার মনিটরিং কার্য ক্রম শুরু হয়েছে। রমজানকে ঘিরে কোন অসাধু ব্যবসায়ী যেন পণ্য মুল্য বাড়াতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক করছি কর্মকর্তারা বাজার তদারকির দায়িত্ব পালন করছে।