Home রাজশাহী বিভাগ জনসংখ্যা বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তায় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হচ্ছে-কৃষিমন্ত্রী
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলে-ছেন,‘ দেশে খাদ্য নিরাপত্তায় অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রতিবছর জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে নানা কারণে চাষযোগ্য জমির পরিমান কমছে।
রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবও। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ফসলের নতুন জাত ও চাষাবাদের প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। ফলে ক্রমশ জনসংখ্যা বাড়লেও; খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় ব্রি ধান-৮১ জাতের ‘ধান কর্তন ও কৃষক সমাবেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন,‘ ব্রি-৮১ জাতটি; ব্রি-২৮ জাতের মতই জনপ্রিয় কৃষকরা নতুন এই জাতটি চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
উচ্চফলনশীল এ জাত চাষের মাধ্যমে ধান উৎপাদন উল্লেকযোগ্য পরিমান বাড়বে এবংদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় এটি আশানুরুপ ভূমিকা রাখবে। শুধু তাই নয় সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যুগো-পযোগী পদক্ষেপ গ্রহনণ ও বাস্তায়নে বিভিন্ন প্রণোদনা ও গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ এবং গবেষণাগার তৈরি, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি প্রদান এবং বাজেট বৃদ্ধির মাধ্যমে গবেষণার উপর গুরুত্ব প্রদান অব্যাহত থাকবে।
যাতে ভবিষ্যৎতে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তায় বজায় রাখা সম্ভব হয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড.মোঃ শাহ-জাহান কবীরের সভাপতিত্ব আয়োজিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
বক্তব্য রাখেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, বিএআরসি ঢাকার নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান ও গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস ও কামরুল ইসলাম প্রমূখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাস, ডিএই ঢাকার মহাপরিচা-লক কৃষিবিদ মোঃ আসাদুল্লাহ, বিএডিসি ঢাকার চেয়ারম্যান ডঃ অমিতাভ সরকার, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ ও পুলিশ সুপার এ এইচ এম আব্দুর রকিব , সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসি, রাজশাহী বিএম ডিএ’র চেয়ারম্যান ডঃ আকরাম হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য বদিউজ্জামান বাদশা, রাজশাহী অতিরিক্ত পরিচালক সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমসহ অন্যান্য ফল রপ্তানির জন্য বিদেশ থেকে ‘ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট’ মেশিন আনার প্রক্রিয়া চলছে। যার মাধ্যমে পোকা-মাকড় দমনসহ বাংলাদেশের আম বিদেশে রপ্তানি শুরু হবে এবং সেটি বর্তমান সরকারের আমলেই হবে বলে জানান মন্ত্রী।’ এদিকে, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে হেফাজতের বিসয়ে মন্ত্রী বলেন,‘ যারা ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধ্বংস করতে চায়, তাদের মূলোৎপাটন বাংলাদেশ থেকে করা হবে।
এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট এবং তাদের বিচার হবে বাংলার মাটিতে। শেষে চাঁপাইনবাব গঞ্জ আম গবেষনা কেন্দ্রে জেলার আমচাষীদের সাথে মতবনিমিয় করেন। মন্ত্রী চাঁপাইনবাব গঞ্জ শহরের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব ও গবেষনা কেন্দ্রে বারী আম- ৪ এবং বারী আম ১১ এর উৎপাদনশীলতা প্রদর্শন শীর্ষক এক কৃষক সমাবেশে যোগ দেন।
এ সময় কৃষকরা আম রপ্তানীতে বিভিন্ন সমস্যা যেমন আমের মূল্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে উদ্যোগ নেয়া,পরিবহন ব্যবস্থা সহজীকরন, উত্তম পদ্ধতিতে আম চাষাবাদে কৃষকদের সহায়তা, পরিকল্পিতভাবে আমবাগান তৈরি সহ বিভিন্ন দাবী তুলে ধরলে মন্ত্রী এসব সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়ার প্রতিশ্রুত দেন।
এ সময় জেলা আওয়ামলীগের সাধারন সম্পাক ও সাবেক সাংসদ আব্দুল ওদুদ বিশ^াস, আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব ও গবেষনা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হরিদাশ চন্দ্র মোহন্ত, পরিচালক (প্রশিক্ষন ও যোগাযোগ) ড. মো: শামসুল আলম সহ গবেষনা কেন্দ্রের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে তিনি কৃষকদের মাঝে বারী আম ৪ এবং বারি আম ১১ এর চারা বিতরনের উদ্বোধন এবং এ জাতের আম গাছের চারা রোপন করে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন।