পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো নিউজিল্যান্ডেও নতুন করে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এর ফলে গত বুধবারই দেশের সবচেয়ে বড় শহর অকল্যান্ডে ফের লক ডাউন জারি করেছে প্রশাসন। এবার নিউজিল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচন একমাসের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্নের ( Jacinda Ardern)।
সোমবার এপ্রসঙ্গে জেসিন্ডা জানান, গত সপ্তাহ থেকে দেশজুড়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এই কারণে সাধারণ নির্বাচন একমাসের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ওই নির্বাচন হবে আগামী ১৭ অক্টোবর।
এর ফলে দেশের সব রাজনৈতিক দলই ৯ সপ্তাহ ধরে প্রচার করার সুযোগ পাবে। আর সঠিকভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য অনেকটা সময় পাবে নির্বাচন কমিশনও। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পিছনে এছাড়া কোনও উদ্দেশ্য নেই।
ভারতের মতোই করোনার সংক্রমণ রুখতে গত মার্চ মাস থেকে লকডাউন (Lockdown) জারি করা হয়েছিল নিউজিল্যান্ডে (New Zealand)। প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপের ফলে অন্য দেশগুলিতে যখন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছিল তখন নিউজিল্যান্ড তাণ্ডব চালাতে পারেনি করোনা।
কিন্তু, গত কয়েকদিন ধরে ফের নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির ঘটনা ঘটতে থাকে। এর ফলে অকল্যান্ডে লকডাউন জারি করতে বাধ্য হয় প্রশাসন। এবার দেশের সাধারণ নির্বাচনই পিছিয়ে দেওয়া হল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ৪০ বছর বয়সী নিউজিল্যান্ডের ওই তরুণ রাষ্ট্র নেতা অকল্যান্ডের একটি রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে গিয়ে ঠাকুর দর্শন করেন। জুতো খুলে সেখানে প্রবেশ করার পাশাপাশি ভারতীয় সংস্কৃতি মেনে ‘নমস্তে’ বলে ওই মন্দিরে উপস্থিত প্রবাসী ভারতীয়দের সম্মান জানান।
একইসঙ্গে আরতিতেও অংশ নেন। একইসঙ্গে আরতিতেও অংশ নেন। নির্বাচনের আগে নিউজিল্যান্ডে বসবাসকারী ভারতীয়দের মন জয় করতেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়ে ছিলেন বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ( কলিকাতা)