নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক মারিজুয়ানা রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসে নিযুক্ত উপপ্রধান কাজী আনারকলির বিরুদ্ধে। এই অপরাধে এরই মধ্যে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তার কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নিউইয়র্ক সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন টেলিফোনে বলেন, ‘আমি ইন্দোনেশিয়া গিয়েছিলাম। ওই সময় আমাদের রাষ্ট্রদূত পুরো ঘটনাটা বলেছেন। সে (আনারকলি) একজন ড্রাগ অ্যাডিক্ট। তাকে রিহ্যাবে (মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র) পাঠানো দরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ইন্দোনেশিয়ানরা খুব ভদ্রলোক। বিপুল পরিমাণ মারিজুয়ানাসহ হাতেনাতে ধরা পড়ার পরও তা বাইরে প্রকাশ করেনি। এখন রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে পুরো রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার অপকর্মের পুরোনো ইতিহাস আছে।
এদিকে, আনাকলির আটক বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে সরকার। এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামসকে প্রধান করে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ (বুধবার) থেকে তদন্ত কমিটি আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করছে।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন কাজী আনারকলি ২০তম বিসিএসের পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা। আনারকলিকে ঢাকায় প্রত্যাহার করে আনার ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক ও বিব্রতকর’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।