নিজেস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জে আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আবেদনের প্রেক্ষিতে জাড়ি থাকা নোটিশ অমান্য করে ভিটিজমিতে নির্মাণ কাজে বাধা দেয়ার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে দিতে সাজানো ঘটনা উল্লেখ করে মামলা করে আইনজীবী পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া সাকিন্স্থ আরএস ২৬৬৯ ও ২১৮৫ দাগ নম্বরের বসতভিটা ওয়ারিশান সুত্রে সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল মজিদ গং এর দখলে থাকা সত্বেও মৃত সামসুল আহমেদের স্ত্রী হালিমা আহমেদের (৬৫) পক্ষের লোকজন নানাভাবে অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করলে আব্দুল মজিদ গং মানিকগঞ্জ সদর সহঃ জজ আদালতে ঐ জায়গায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ২৮৩/২১ নং আবেদন করে।
আদালত সেই মোতাবেক বিবাদীগনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু সেই নোটিশ অমান্য করে গত ৭ সেপ্টেম্বর পাকা নির্মাণ কাজ করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ প্রসঙ্গে অভিযোগ করে মানিকগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত কার্যকরী সদস্য এডভোকেট মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই বিজ্ঞ আদালতের দারস্থ হয়েছি, কিন্তু মিসেস হালিমা আহমেদের লোকজন অন্যায়ভাবে আমাদের দখলে থাকা জমিতে নির্মান কাজ শুরু করলে নিষেধ করি, এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বৃদ্ধ পিতাকে সহ কয়েক জন কে আক্রমণ করে গুরুতর আহত করে। এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছি, এমতাবস্থায় সূবিচার প্রত্যাশা করছি।
অপরদিকে হালিমা আহমেদ আদালতের নোটিশ না মেনে নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন স্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, মজিদ মেম্বার গং ওখানে জায়গা পাবে এটা সত্যি, কিন্তু আমরা অনেক দিন আগে নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করেছি তাই কাজ শুরু করে ছিলাম, তারাই বরং আমাদের লোকজন কে মেরেছে তাই থানায় অভিযোগ করেছি।
এসব বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার এস আই মোঃ বাবুল মিয়া বলেন, দুটি অভিযোগ আছে, তার মধ্যে একটি মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে ।
আর ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল জলিল বলেন, আমি অনেক কিছুই শুনেছি তবে আগামী কাল সোমবার বিষয়টা মিমাংসা করার জন্য দুই পক্ষকে নিয়ে বসা হবে।