মানিকগঞ্জে ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজে দিশেহারা কুরবানির পশু খামার !

0
206

শিকদার শামীম আলমামুন, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জ জেলায় লাম্পি স্ক্রিন ডিজিজ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় গরু খামারিরা কোরবানিরপশু নিয়ে চরম দিশেহারা, আসছে বন্যা অন্যদিকে কোরবানির পশু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, ইতোমধ্যে ৭টি কোরবানির পশু মারা গেছে, তবে সরকারি পশু সম্পদ কর্মকর্তার দাবী সবগুলো এই রুগে নয় বরং ফুড পয়জনিং এ মারা গেছে। ওদিকে লাম্পিস্কিনে আক্রান্ত পশুগুলোর মাংস উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ইতিমধ্যে সাটুরিয়া উপজেলার আগ সাভার গ্রামের মো. তাহের হোসেনের ৩৭টি পশুর মধ্যে ১৬টি ও আমি-নুর রহমানের ২০টি পশুর মধ্যে ৬টি ভাইরাসে আক্রান্ত। ধানকোড়া ও হরগজ ইউনিয়নে অনেক বাড়িতেই পশু আক্রান্ত হয়েছে এই দুই ইউনিয়নেই মারা গেছে ৭টি পশু যার বাজার মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা।

ফুকুরহাটি গ্রামের খামারি ফিরোজা বেগম বলেন, ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর পেয়ে আমি মানিকগঞ্জ থেকে একটি কোম্পানির ভ্যাকসিন কিনে পশুকে পুশ করেছি। এতে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৮ শত টাকা ও চিকিৎসককে দিতে হয় ১ হাজার টাকা।

অনেক খামারিদের অভিযোগ, লাম্পি স্কিন বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ কোনো কাজে আসছে না, একটি পশুর জন্য ৪/৫ হাজার টাকা খরচ করেও গরু সুস্থ হয়না। সামনে কোরবানির ঈদ, পানির দরে বিক্রি করতে হবে, অসুস্থ পশু ক্রেতারা নেবে কিনা এ নিয়েও দুচিন্তায় পড়েছেন তারা।

মানিকগঞ্জ জেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, গোটা জেলায় ১১হাজার ১৫৫ জন খামারী, মোট কোরবানি উপযোগী গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া প্রস্তত করেছে ৫৬ হাজার ৮৫০টি, যেগুলো মানিকগঞ্জ জেলার কুরবানির চাহিদা মিটাবে। এমতাবস্থায় এ রোগের কোনো ভ্যাকসিন না থাকায় কোরবানির পশু নিয়ে দুচিন্তায় আছে খামারীগন।

এসব বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডঃ মোঃ মাহবুবুল ইসলাম জানান, টানা বৃষ্টির পরে তিন মাসের কম বয়সী ঘাস খেলে পশুর ফুড পয়জনিং হয়, করোনার মতই ভয়ানক লাম্পি স্ক্রিন ডিজিজ আক্রান্ত হয়ে দুটি গরু মারা গেছে, বাকীগুলো হয়তো ফুড পয়জনিং, বর্তমানে বিদেশ থেকে আমদানি করা হলেও সরকার দ্রুতই এর টীকা তৈরি করবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here