মোরেলগঞ্জে সন্তান ও স্বামীর অধিকার ফিরে পেতে চায় শাহনাজ

0
168
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির :বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একমাত্র সস্তানের পিতৃত্বের অধি-কার ফিরে পেতে চায় শাহনাজ পারভীন। আর এ অধিকার ফিরে পেতে শাহনাজ পারভীন প্রশাসনের সহযোগীতা  ও আইনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বিচারের দাবিতে শাহনাজ মামলা দায়ের করেছেন বাগেরহাট আদালতে ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ।
শাহনাজ পারভীন উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের শেখ সরোয়ার হোসেনের  মেয়ে। ২০১৬ সালে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের খালকুলা গ্রামের সেকেন্দার আলী ছেলে তরিকুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়।  তাদের সংসারে সাড়ে ৪ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
বিয়ের সময় তার পিতার কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে  ৩ লক্ষ টাকা গ্রহন করে। এছাড়াও  বিভিন্ন এনজি ও থেকে স্ত্রী শাহনাজের মাধ্যমে ২০১৬ ও ২০১৮ সালে থেকে আরো ৩ লক্ষ টাকা লোন উত্তোলণ করে নেয়।
এত টাকা নেয়ার পরও যৌতুকলোভী তরিকুল তার কাছে আরো ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি কর্নে।স্বামী তরিকুল ইসলাম (ক; ৫৭০) বর্তমানে ভোলা পুলিশ লাইনে কর্মরত রয়েছে। শাহ-নাজ পারভীন পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের এফডবিøউএ’র দায়িত্ব রয়েছেন।
বিয়ের পর থেকে তরিকুল ইসলাম তার কাছ থেকে নানা সুযোগ সুবিধা ও অর্থ গ্রহনের চেষ্টায় ব্যর্থ প্রয়াস চালায়। তার বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ের অভিযোগও রয়েছে।  প্রথম স্ত্রী তার বিরুদ্ধে আদালতে নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছিল।
তার অনুমতি ছাড়াই তরিকুল ভোলায় আরো একটি  বিয়ে করেন বলে স্ত্রী শাহনাজ অভিযোগে জানান ।এদিকে তরিকুল ইসলাম স্ত্রী শাহনাজ পারভীন ও শিশু সন্তানের ভরন পোষন সহ কোন খোঁজ খবর  না নেয়ায়  শাহনাজ পারভীন পিতার সংসারে ঘাড়ের বোঝা হয়ে শিশু সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এনিয়ে শাহনাজ পারভীন বাদি হয়ে স্বামী তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাগেরহাট বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসি-য়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা (নং-১৭৪/১৯) ও বাগের হাট বিজ্ঞ মোরেল গঞ্জ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতে দেনমোহর ও ভরন-পোষনের অপর একটি মামলা (নং-২৭/২০) দায়ের করেন।
এছাড়াও স্ত্রী শাহনাজ পারভীন ভোলা পুলিশ সুপার বরবারে অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভোলা জেলা সদরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহোদয় বিষটি তদন্ত পূর্বক  বিভাগীয় মামলা রুজু হয় ও অভিযোগ প্রমানিত  হওয়ায় পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
এরপরও তরিকুল ইসলাম স্ত্রী শাহনাজ পারভীনকে তালাক দেয়ার জন্য নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে । শাহনাজ পারভীন তার অবুঝ সন্তানের পিতৃত্বের অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন। এছাড়াও তিনি বিভাগীয় মামলাটি পুনঃ তদন্তের দাবি জানান ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here