ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় নারী ফুটবলারকে ধর্ষণের অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম ফকির ফয়সালকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ওই তরুণীকে ধর্ষণের আলামত সংগ্রহে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। ডাক্তারি পরীক্ষার পর ওই তরুণী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ঘটনার বর্ণনাদিয়েছেন।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান ডাক্তারি পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সুপার বলেন, ওই তরুণীর জবানবন্দি পুনরায় নেয়া হয়। সেই অনুযায়ী ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু এই ঘটনায় নান্দাইল থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও থানা পুলিশের ভূমিকাও তদন্ত করা হচ্ছে। যদি তাদের গাফিলতি পাওয়া যায়, তাহলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওই তরুণীর পরিবার দাবি করেন, ঘটনার পর তারা নান্দাইল থানায় ছাত্রলীগনেতা ফয়সালের বিরুদ্ধে ‘ধর্ষণের’ মামলা করতে গেলে পুলিশ ‘ধর্ষণচেষ্টার’ মামলা নিয়েছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী ফুটবলার বলেন, ‘থানা পুলিশ উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার মামলা পরিবর্তন করেছে। যেদিন অভিযোগ দেওয়া হয়, সেদিনই ডাক্তারি পরীক্ষা করলে ধর্ষণের আলামত নিশ্চিতভাবে পাওয়া যেতো। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।’