নারায়ণগঞ্জ বন্দর প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ বন্দরে আলোচিত মিতু হত্যাকান্ডের ঘটনা পাঁচ লক্ষ টাকায় রফাদফা করার অভিযোগ উঠেছে বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল ও টুঙ্গিবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো: দুলালের বিরুদ্ধে।
জানতে পারা যায় ভাড়াটে খুনি আরিফ, ওয়াশিম এর পরিবারের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে মিতুর বাবা সিরাজুল হাউলাদারকে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়ে রফাদফা করেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই রাতে বন্দরের আমিন আবাসিক এলাকায় নিজ বাসায় পরকিয়া সম্পর্কের জেরে ১লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে খুনি আরিফ, ওয়াশিম, আবুল ও রাজিবের মাধ্যমে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মিতুকে হত্যা করে তারই স্বামী রহুল আমিন ওরফে রবিন।
গুম করার উদ্দেশ্যে তারা সেদিন রাতেই তোষক পেঁচিয়ে নবীগঞ্জ বাগবাড়িস্থ একটি পরিত্যাগ ডোবায় লাশটি ফেলে আসে। ৩দিন পর স্থানীদের সুত্র ধরে গত ১৫জুলাই ঐ জায়গা থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এব্যাপারে বন্দর থানা হত্যা মামলা রুজু হলে ১৬ তারিখ সকালেই মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আবুল খায়ের এর নেতৃত্বে নবীগঞ্জ এলাকার নিজ বাড়ি হতে মৃত হাজী ফজল করিমের ছেলে ওয়াশিম(৩৫), চৌরাপাড়া এলাকার মহারাজ মিয়ার ছেলে রাজিব(৩৫), তিনগাঁও এলাকার আওলাদ মিয়ার ছেলে আরিফ (৪০) কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত ১দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
আরেক আসামি আবুল হোসেন জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেন, গত ১২ জুলাই রাতে মিতুর স্বামী রবিন আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। তখন পর্যন্ত আমি এ হত্যাকান্ডের বিষয়ে কিছুই জানতাম না। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মিতুকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। ঠিক সে মুহুর্তে রবিন ও তার ভাড়াটে গুন্ডা রাজিব, ওয়াশিম ও আরিফ আমাকে ভ্যান নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে বলে।
আমি ভয় আমার গ্যারেজ থেকে একটি ভ্যান ও একটি ড্রাম নিয়ে আসি। প্রথমেই মিতুর নিথর দেহ ড্রামে ভেতরে ঢুকানো হলে মাঝপথে ড্রামটি ফেটে যায়। পরে ফের তোষক পেঁচিয়ে নবীগঞ্জ বাগবাড়ির একটি পরিত্যক্ত জলাশয়ে লাশটি ফেলে আসা হয়।
এব্যাপারে বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আমি এই ব্যাপারে কিছু জানিনা আমি শুনেছি টুঙ্গিবাড়ী বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল এটার সমাধান করেছে।
এব্যাপারে টুঙ্গিবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো: দুলাল বলেন, বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল আমাকে অল্প টাকায় বিষটা সমাধান করে দিতে বলে এবং আমি আমার মেম্বারকে সমাধান করে দিতে বলি।
এব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মো: আবুল খায়ের বলেন, হত্যা মামলা আপোষ যোগ্যনয়। মামলাটি এখন তদন্তাদিন আছে যোদি কেও মামলা সমাদান করে থাকে তাহলে ভূল করেছে।