শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥ নড়িয়া পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মামুন খান (৩২) নামের একজন কে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত মামুন খান নড়িয়া পৌরসভার বাড়ৈপাড়া গ্রামের সালাম খানের ছেলে। এই ঘটনায় আরো অন্তত ১২ জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ভারী কোন ভোতা অস্ত্রের আঘাতে মামুনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। এই বিষয়ে মামলা হয়েছে। স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মামুন খান একটি নির্মাণ সামগ্রী বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ছিল।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মোকলেছ বেপারী ও আত্মীয় স্বজন মাদক ব্যবসা করত। মামুন খান মেয়র ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাথে মাদক বিরোধী প্রচার প্রচারণায় অংশ নিত। এতে মাদক ব্যবসায়ী মোকলেছ বেপারীর অবৈধ ব্যবসায় সমস্যা হতো। তাদের মাদক ব্যবসা বাঁধাহীন ভাবে চালিয়ে নিতে মামুনকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মামুন তার কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নড়িয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মামুনের উপর হামলা চালায় মোকলেছ বেপারী ও তার সমর্থকরা।
পরে হামলাকারীরা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়। নিহতের ফুফাতো ভাই জাহিদ ও মামা আনোয়ার হোসেন মল্লিক জানায়, যারা মাদক বিরোধী কথা বলতো তারা মোকলেছ বেপারী ও তার চক্রের লোকদের নজরে থাকতো।
ইতোপূর্বে মাদক বিরোধী কথা বলায় একটি ছেলের হাত-পাঁ ভেঙ্গে দিয়েছে তারা। মামুনও মাদক বিরোধী মিছিল মিটিংয়ে যেতো। তাই বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে মোকলেছ বেপারী তার লোকজন নিয়ে মানুনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত ডা. তোফায়েল আহমেদ জানায়, মৃত অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিতে মৃত অবস্থায় মামুনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ভারী কোন ভোতা অস্ত্রের আঘাতে মামুনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ময়না তদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। নড়িয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মাহাবুব রহমান বলেন, ঘটনার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই বিষয়ে মামলা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।