ব্লগার স্বামী অভিজিৎ রায় হত্যা মামলা রায়ে সন্তুষ্ট হননি অভিজিতের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা। রায় প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজের ফেসবুক পেজে এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) পাঁচ সদস্যের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অপর একজন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
বন্যা তার পোস্টে বলেন, ‘ছয় বছরের দ্বিধা এবং বিলম্বের পর আমরা আজকে একটি রায় পেলাম। ২০১৫ সালে আমি এবং অভিজিৎ বাংলাদেশে গিয়েছিলাম বই মেলায় অংশ নিতে। সেখানে তার দুটি বই প্রকাশের কথা ছিল। আমরা জঙ্গি হামলার শিকার হলাম এবং অভিজিৎ মারা গেলো, আমি কোনও মতে বেঁচে গেলাম। এই মৃত্যুর মিছিল আরও এক বছর অনবরত চলমান ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আদালত রায় দিয়েছেন। হামলাকারীরা বিজ্ঞান, দর্শন এবং ধর্ম সম্পর্কিত বই ও ব্লগ লেখার জন্য অভিজিৎকে হত্যা করেছে কিনা, আদালত তার বিচার করছিল। এই রায় আমার কিংবা আমার পরিবারের কাছে কোনও অবসান নয়। আমি এটা কখনও আশা করিনি।
গত ছয় বছরে এই মামলার তদন্তকারী কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। যদিও আমি একজন প্রত্যক্ষদর্শী এবং হামলার একজন ভিকটিম। জানুয়ারি মাসে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রকাশ্যে মিথ্যা বলেছেন যে আমি সাক্ষ্য দিতে রাজি নই।
রায় প্রসঙ্গে বন্যা ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘জঙ্গি সংগঠন যারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল, তাদের দুই হোতা সৈয়দ জিয়াউল হক (বরখাস্ত মেজর জিয়া) এবং আকরাম হোসেনকে কোনও সময় আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।