ইবি প্রতিনিধি: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে মহাবিপদে আছি। কেননা প্রাইভেট বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়া বন্ধুরা ইতোমধ্যে ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করেছে। ফলে তারা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারিসহ আসন্ন বিসিএস এ আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেও নানান অজুহাতের চাপায় পড়ে এখনও শেষ করতে পারছি না ¯œাতক (সম্মান) ফাইনাল পরীক্ষা।
যার ফলে পিছিয়ে পরছি অন্যদের থেকে। সাথে দিন দিন বোঝা হয়ে উঠছি সমাজ তথা পরিবারের। বুধবার (৯ ডিসেম্বর) চতুর্থ বর্ষের আংশিক ও পূর্ণ পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন ভবনের সামনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন বিভাগসমূহ ব্যাতিত বাকি ২৫ টি বিভাগের মধ্যে ১৮ টি বিভাগে ¯œাতক চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশিত হলেও এখনও বাকি ৭টি বিভাগের ফল প্রকাশের। এর মধ্যে ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুুক্তির ৬ টি, গণিতের ২ টি, আল-ফিকহ্ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজের ৪ টি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৬ টি কোর্সের পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও করোনায় আটকে আছে বাকি পরীক্ষাগুলো।
এছাড়া কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিসংখ্যান, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ক্লাস সম্পন্ন হলেও এখনও শুরু হয়নি চূড়ান্ত পরীক্ষা। সবমিলিয়ে ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করতে না পারায় আসন্ন বিসিএস আবেদন সহ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না এসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে করোনার মধ্যেই ¯œাতক ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহনের তারিখ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়। তবে এ বিষয়ে কোন সুনজর দিচ্ছে না ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে বুধবার বাকি থাকা আংশিক ও পূর্ণ পরীক্ষা নেয়ার জোর দাবিতে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনা এখন অজুহাত মাত্র। কেননা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিসসমূহ খোলা। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্যাম্পাসে অবাধে চলাফেরা করছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেই তৈরি হচ্ছে যত জটিলতা। কর্তৃপক্ষের উচিত স্বাস্থবিধি মেনে অতি দ্রুত আমাদের পরীক্ষা নেয়া। অন্যথায় আমরণ অনশনে যাওয়ারও হুশিয়ারী দেন তারা।
এদিকে মানববন্ধন শেষে একই দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কাছে স্মারক লিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম জানান, ‘আগামী ১৩ ডিসেম্বর বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সভায় এবিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। অন্যথায় পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।’