শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥ শরীয়তপুর পৌরসভার সরবরাহকৃত পানিতে ময়লার সয়লাব। ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এই পানি। বহু বছরের পুরনো পাইপ লাইনে পানি সরবরাহের কারণে এই সমস্য হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি সরবরাহ বিভাগ।
ময়লা পানি ব্যবহারে চর্ম ও পেটে পিড়ার মতো কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। শরীয়তপুর পৌরসভা সূত্র জানায়, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১১টি গভীর নলকুপ চালু আছে।
তুলাসার, আংগারিয়া, আটং, প্রেমতলা ও কোতোয়াল বাড়ির রাস্তার পাইপ লাইনে পানির সাথে ময়লা আসে। মাঝে মধ্যে পাইপ লাইন ওয়াশ করা হয়। বহুদিনের পুরনো পাইপ লাইন পরিবর্তনের চন্য নতুন পকল্প চেয়ে চাহিতাপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। পৌরসভার রাস্তা সংস্কার হলে পাইপ লাইন রিপ্লেসমেন্ট করা হবে।
পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুই বেলা পানি সরবরাহ করে থাকে শরীয়তপুর পৌরসভা পানি সরবরাহ বিভাগ। প্রায় ১ লাখ মানুষ এই পানি ব্যবহার করে থাকে। প্রতিনিয়ত পানির সাথে শ্যাওলা ও লাল বর্ণের আয়রন জাতীয় ময়লা আসে। যে সকল পরিবার এই পানির উপর নির্ভরশীল তাদের সকল কাজেই এই ময়লা পানি ব্যবহার করতে হয়।
তুলাসার এলাকার আব্দুল মজিদ, আঙ্গারিয়া এলাকার মুন্নি আক্তার ও নিরালা এলাকার আমিন জানায়, পানির সাথে ময়লা আসে। কিছু ময়লা ছাকনি দিয়ে পরিস্কার করা যায়। পানির সাথে মিশে কিছু ময়লা আসে তা ছাকনিতেও পরিস্কার করা যায় না।
এই পানিতে গোসল করে তাদের চুলকানির মতো চর্মরোগের সৃষ্টি হয়েছে। এই পানিতে রান্না করা খাবার খেয়েও পেটে অসুখ হচ্ছে অনেকের। শরীয়তপুর পৌরসভার পানি শাখার প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পানির সাথে ময়লা যায় এমন অভিযোগ সকল এলাকা থেকেই পাওয়া যায়। পাইপ লাইনের শেষের দিকে এই সমস্যা বেশী হয়।
অভিযোগের ভিত্তিতে মাঝে মাঝে কোতোয়াল বাড়ির পাইপ লাইন পরিস্কার করা হয়। বটতলার নলকূপটি ১৯৮৯ সালে স্থাপন করা হয়েছে। এই নলকূপের পাইপ লাইনের উপরে রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় পাইপ রিপ্লেসমেন্ট সম্ভব হয়নি। তাছাড়া পাইপ লাইনে বাহিরের ময়লা প্রবেশের সুযোগ নাই। পাইপ লাইনে সৃষ্ট ময়লা পানির সাথে যায়।
ময়লায় তেমন কোন ক্ষতি হওয়ার কথা না। শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবুল মোহাম্মদ শাহ পরান বলেন, ময়লা পানির ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ময়লা পানি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করা যেতে পারে। তা নাহলে চর্ম রোগ পেটের পিড়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা রয়েছে।