শরীয়তপুর প্রতিনিধি, খোরশেদ আলম বাবুল ॥ শরীয়তপুরের সাথে ঢাকার যোগাযোগ সহজ হয়েছে পদ্মাসেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে। রোববার ভোর ৬টা থেকে সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু করেছে। তবে প্রসস্থ সড়ক ও যানবাহন সংকটের কারণে শরীয়তপুরে বেড়েছে যাত্রিদের ভোগান্তি। এখনও নিরুপায় হয়ে যাত্রি পারাপার হচ্ছে লঞ্চ ও স্পীডবোর্টে।
পদ্মাসেতুর শরীয়তপুর অংশের টোল প্লাজায় গিয়ে দেখাগেছে যানবাহনের ভীড়। তারা টোল পরিশোধ করে সেতুতে উঠছে। ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৬ হাজার গাড়ি টোল পরিশোধ করে শরীয়তপুর অংশ থেকে পাড় হয়েছে। মঙ্গল মাঝির ঘাটে গিয়েও দেখা গেছে স্পীডবোট ও লঞ্চ দিয়ে যাত্রি পারাপার হতে।
নদী পাড় হয়ে আসা মাসুদ খান ও শাকিল জানায়, তারা ঢাকার থেকে এসেছে। নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর যাবেন তারা। তাদেরও ইচ্ছে ছিল পদ্মাসেতু দিয়ে পার হওয়ার। তবে ঢাকার কোন স্থান থেকে শরীয়তপুরের গাড়ি ছাড়ে তা তাদের জানা ছিল না। তাই চিরচেনা পথেই বাড়ি ফিরছেন তারা।
সেই সময় লঞ্চে উঠছেন পদ্মা নদী পাড় হওয়ার জন্য সামচুল হক ও হালিমা দম্পতি। তারা জানায়, দীর্ঘক্ষণ শরীয়তপুর বাসস্ট্যান্ডে ঢাকার বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। যাত্রির ভিড় ঠেলে গাড়িতে উঠতে না পারায় তারাও চিরচেনা পথেই ছুটছেন ঢাকায়।
তবে শরীয়পতপুরের সাথে ঢাকার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস লিমিটেডের পরি-চালক জানায়, তাদের ১৭টি বাস ঢাকা শরীয়তপুর সড়কে চলাচল শুরু করেছে। আরো কয়েকটি বাস নির্মাণাধীন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা-গাজীপুর- নারায়ণগঞ্জ রুটে চালু করা হবে। তখন ভোগান্তি অনেকটা কমবে।
অপর দিকে শ্যামলী পরিবহনের চেয়ারম্যান ২০টি গাড়িতে তাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে শরীয়ত পুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা পরিদর্শণ করেছেন। তারাও এই রুটে ১ মাসের মধ্যে যাত্রি সেবা চালু করবেন জানিয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকা থেকে ৮টি বিআরটিসি বাস শরীয়তপুরে এসে আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির রোসানলে পড়েছে। শরীয়তপুরের সড়ক প্রসস্থ হলে অনেক কোম্পানীর যাত্রি সেবা চালু করার সম্ভাববনা রয়েছে।
বিআরটিসি বাস চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, শরীয়তপুরে সড়ক অনেক সরু। গাড়ির সাইড দেওয়া খুব কষ্টের। কাজির হাট ও কোটাপাড়া এলাকার নদীর ব্রিজ খুব ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে ঘন্টারপর ঘন্টা জ্যামে থাকতে হয়।