রুদ্রকরে ফসলি জমি রক্ষার দাবীতে ইউএনও অফিসে আবেদন

0
205

 

শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥ শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকরে ফসলি জমি খনন করে মাটি বিক্রির পায় তারা চলছে। ফসলি জমি রক্ষার দাবী নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন পার্শ¦বর্তী জমির
মালিকগণ।

এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে কৃষকদের আশ্বস্থ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। কৃষকদের লিখিত আবেদন ও এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে জানাগেছে, মধ্য চররোসুন্দি গ্রামের মৃত মিনাজ উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র রুহুল আমিন হাওলাদার। চররোসুন্দি মৌজার মধ্য চররোসুন্দি এলাকায় ৩ ফসলি একটি জমির মাটি ইট ভাটায় বিক্রি করেছেন।

জমি থেকে মাটি কেটে ইট ভাটায় নেয়ার জন্য অবৈধ ভ্যাকু মেশিন এনে জমির পাশের একটি বাগানে লুকিয়ে রেখেছেন। মাটি বহনকারী গাড়ি চলাচলের জন্য মেরামত করছেন রাস্তা। বিষয়টি এলাকাবাসীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে তাই তারা একজোট হয়ে জমি খননে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

পার্শ্ববর্তী জমির মালিক আয়নাল হক তালুকদার, সিরাজ ফকির, শহিজদ্দীন শরীফ, গনি তালুকদার, হাবি বয়াতী, নুরনাহার বেগম, দিলু খা, মালেক সরদার, হানিফ সরদার, মরন কোতোয়ালসহ অনেকে জানায়, এই জমিতে প্রতি বছর তিনটি ফসল হয়। বিভিন্ন মৌসুমে ফসল ফলিয়ে তাদের জীবীকা নির্বাহ হয়।

এই জমির মাটি ইট ভাটায় বিক্রি করলে পার্শ্ববর্তী জমি ভেঙ্গে পড়বে। তাছাড়া পতিত জমিতে ইদুরের উৎপাত বেড়ে যাবে। তখন পার্শ্ববর্তী জমিতে ফসল ফলানো সম্ভব হবে না। রুহুল আমিন হাওলাদার জোর করে মাটি কেটে নিবে বলে ভ্যাকু মেশিন এনেছে।

যে কোন সময় মাটি কাটা শুরু করতে পারে। ফসলি জমি যাতে নষ্ট করতে না পারে সেই জন্য প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছেন তারা।

রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, সে সৌদি প্রবাসে ছিলেন। করোনার সময় তিনি দেশে ফিরে আসেন। আর সৌদিতে যেতে পারেনি। এখন জমির মাটি বিক্রি করে মাছ চাষের উপযোগী করতে চায়। তবে সরকারের কোন বিধি অমান্য করে তিনি মাটি কাটবেন না।

এই বিষয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, জমির শ্রেণি পরিবর্তণ করে পুকুর করার কোন সুযোগ নাই। যদি কেউ ফসলি জমিতে পুকুর করতে চেষ্টা করে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here