সাটুরিয়ায় বিধবাকে ধর্ষণ!

0
258

নিজেস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় এক বিধবা নারীকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে সাটুরিয়া থানা-পুলিশ ওই নারীকে হাত পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে ওই নারী বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।

ওই নারীর প্রতিবেশীরা জানান , সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই বিধবা নারীর ঘরের দরজা ভাঙা দেখে ভেতরে গিয়ে দেখি খাটের সঙ্গে হাত-পা ও মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা। সে মুখের বাঁধন খুলে দেওয়ার জন্য হাউমাউ করছে। বিষয় টি দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দিলে তারা তাকে  উদ্ধার করে।

ওই নারী (৪৫) জানান, জান্না এলাকার আঃ রহমানের ছেলে রাহাদুল ইসলাম গভীর রাতে আমার শয়ন কক্ষে ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে  ঢুকে প্রথমে মুখ বাঁধে পরে খাটের সাথে হাত-পা বেঁধে সারা রাত ধর্ষণ করে। আমার মুখ ও হাত-পা বাঁধা থাকায় আমি চিৎকার করতে পারিনি। সকালে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। পরে  বৃহস্পতিবার আমি বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাহাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাটুরিয়া থানায় মামলা করেছি।

ওই বিধবা নারী আরও বলেন, ‘২০১৭ সালে রাহাদুল ইসলাম আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখনো এ বিষয়ে আদালতে তার অজ্ঞ জ্ঞ্য্যবিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করি। ওই মামলা তুলে না নেওয়ায় পুনরায় ধর্ষণ করার হুমকি দেয় আমাকে। সে বুধবার রাতে আমার ঘরে ঢুকে আমাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ধর্ষণের সময় রাহাদুলের সাথে সাইদুর নামে এক ব্যক্তি তাঁকে সহযোগিতা করে।’

এ বিষয়ে কথা হয় অভিযুক্ত রাহাদুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি যড়যন্ত্রের শিকার,আমি ওই নারীকে ধর্ষণ করিনি। এসব বিষয়ে  সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন,  একটি ফোন পেয়ে এক নারীর হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ঘরের ভেতর থেকে জীবিত উদ্ধার করি। পরে এ ঘটনায় ওই বিধবা নারী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ধর্ষককে ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here