সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া মেইন বাজার এলাকায় অবস্থিত হাজি আবদুর রহমান ভবনের মালিক নরওয়ে প্রবাসী মোঃ হাবিবুল হক ও তাহার পরিবারের সদস্যগনকে নানাভাবে হয়রানির ঘটনা দীর্ঘ দিন যাবৎ পত্র-পত্রিকায় হুলস্থুল। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগি হাবিবুল হক সাটুরিয়া থানা ও পুলিশের উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করলেও সমাধানের র্দীঘসূত্রিতায় সে এখন দিশেহারা।
এ ব্যাপারে, রেমিট্যান্স যোদ্ধা হাবিবুল হকের অভিযোগ, তার চার ভাইয়ের মধ্যে সেজ ভাই আবু মোঃ এম-দাদুল হক (বাবুল) ছোট বেলা থেকেই স্থানীয় কিছু কুচক্রী মহলদ্বারা প্রভাবিত হয়ে পরিবারের মূল আদর্শ বিচ্যুত হয়েছে। পিতা জীবিত থাকাকালিন সময় থেকেই বাবুল কখনো তাদের ভরনপোষণ করেনি, উল্টো তাদের সাথে ধারাবাহিক দূর্ব্যবহার করেছে।
বাবুলের অত্যাচারের সীমা অতিক্রম করলে এক পর্যায়ে পিতামাতা ও দু বোনে বাধ্য হয়ে বাবুলের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলাসহ জোরজবরি করে সম্পত্তির দখল ও হয়রানির অভিযোগে সাটুরিয়া থানায় একটি মামলা করেন। শুধু তাই নয়, বাবুলের আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে তার পিতা তার বিরুদ্ধে সাটুরিয়া থানা জিডি নং (১৬৮/৫-৩-০৩)সহ চারটি পৃথক থানায়, জিডি করতে বাধ্য হয়েছিলেন। হাবিবুল হকের অভিযোগ, ছেলের দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে অনেকটা নিবৃত্তচারী হয়ে পিতা পরলোকগত হয়েছেন।
ইতিমধ্যে, করোনা সময়কালী, প্রবাসী হাবিবুল হক দেশে এসে, পরলোকগত পিতার বসবাসের বাড়ী হতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ, নতুন করে অবকাঠামো নির্মান করে, ভাড়া এবং বাবার দায়ের করা মামলা পরিচালনার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে আদালতের স্মরনাপন্ন হলে আদালত মামলার নথিপত্র যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে বাড়ীটির উপর কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা ও বাইলেন্স নোটিশ টাঙ্গিয়ে দেয়। কিন্তু এতেও বাবুলের সুমতি হয়নি।,
উপরন্তু, দৈবশক্তির ইগিংতে বাবুল তার ছোট ভাইয়ের অর্থে নির্মিত বাড়ীটি দখলের অপচেষ্টা চেষ্টা করে যাচ্ছে। অভিযোগে উল্লেখ, প্রবাসী হাবিবুল হক সাটুরিয়ায় অবস্থানকালীন সময়ে অজ্ঞাত সন্ত্রীদের হামলা-মামলার শিকারও হয়েছিলেন।
ইতিমধ্যে, হাবিবুল হক নরওয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তার নবনির্মিত বাড়ীর দেয়ালে লাগানো (বাড়ী-ভালের) সিসি ক্যামেরা ভাংঙ্গচুর, বাড়ী দখল ও ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদে অকাতরে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে সাটুরিয়া বাজারে মূল্যবান কিছু জায়গা দখলের পায়তারা এবং স্থানীয় চাটুকার সুবিধাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠির ছত্রছায়ায় ক্রমে ক্রমেই বেপরোয়া আচারণ করে যাচ্ছে।
এমতবস্থায়, নরওয়ে প্রবাসী হাবিবুল হক বলেন, দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থান করে প্রচুর রেমিটেন্স উপার্জন করে জন্মভূমি বাংলাদেশকে দিয়েছি, আমার অনুপস্থিতিতে কষ্টে উপার্জিত সম্পদ রক্ষায় আমি স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিনিত সহযোগিতা কামনা করছি।