ষ্টাফ রিপোর্টার: মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় দিঘুলিয়া ইউনিয়নের দেলুয়া গ্রামের বাবলু মিয়ার কন্যা নববধু কলেজ ছাত্রী শারমিন আক্তার (২১) কে কিল, ঘুষি, লাঠিপেটা করে তাড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার দুপুরে শারমিন আক্তার তার বাবার বাড়িতে সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পরে গত ২৭ আগস্ট স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের অভিভাবকদের সম্মতিতে ১০লক্ষ টাকা কাবিন মুলে একই গ্রামের মোঃ হুটুমালী খানের ছেলে মোঃ শামীম খানের (২৫) সাথে আমার বিয়ে হয়েছে , বিয়ের পর তিন দিন আমরা স্বামী স্ত্রী মিলে মিশে আমার বাবার বাড়িতে অবস্থান করে দাম্পত্য জীবন শুরু করি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শশুর বাড়িতে গেলে আামার শাশুড়ি উজালা বেগম হঠাৎ করেই বিভিন্ন অজুহাত তুলে আমার চুলের মুঠি ধরে কিল ঘুষি মারে, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নীলাফুলা জখম করে বলে তোকে আমার ছেলে তালাক দেবে, তুই আমার ছেলের উপযুক্ত নস, পর্যাপ্ত উপঢৌকন আনিসনি কেন? তুই এখনি আমার বাড়ি ছেড়ে না গেলে কঠিন শাস্তি দেব।
খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশরা আমাকে উদ্ধার করে আনে। আমি আরও জানতে পারছি আমার শাশুড়ী পাশের গ্রামের স্কুল পড়ুয়া এক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরী মেয়ের পরিবার হতে মোটা আকারে যৌতুক নিয়ে আমার স্বামীর সাথে বিয়ের আয়োজন করে তাকে গোপন স্থানে পাঠিয়ে দিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে, এমতাবস্থায় আমি শামীম খানের সাথে সংসার চালিয়ে যেতে সকলের সহায়তা চাই।
এ বিষয়ে শামীম খানের মা উজালা বেগম মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, মারিনিতো, আমরা বৌ নিয়ে খাব, তবে আমার ছেলে কোথায় আছে জানিনা।
এসব বিষয়ে দিঘুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শফিউল আলম জুয়েল জানান, গত মাসের ২৭ তারিখে দুই পক্ষের মুরুব্বিদের নিয়ে আলোচনা করে পাত্র পাত্রীদের সম্মতিতে আমরা বিয়ে সম্পন্ন করেছি, কাজেই তারা সন্তুষ্ট চিত্তে সংসার করার কথা।
কিন্তু মারধরের একটি ভিডিও আমাকে দেখানো হয়েছে যা দুঃখজনক, সত্য সঠিকটা বাস্তবায়নে জোড়ালো পদক্ষেপ নেব।