সাটুরিয়ার দিঘলীয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিয়েছে ‘সবুজ বাংলা যুব উন্নয়ন সংঘ’।শুক্রবার দুপুরে দিঘলীয়া ইউনিয়নের দেলুয়া গ্রামে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় প্রায় ২০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা সদস্যকে রজনীগন্ধা ফুল ও বিশেষ উপহার দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ ফটো এর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও উপজেলা চেয়ারম্যান আ, খ, ম নূরুল হক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব আবুল বাসার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলী আক্তার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জনাব রেজাউল করিম রেজা, সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সফিউল আলম জুয়েল, দিঘলীয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জনাব গোলাম কিবরিয়া প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম টিপু, জনাব মোঃ জাকির হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শামছুল আলম বাক্কু, আউলাদ হোসেন মাষ্টার, উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল জলিল‘সহ দিঘলীয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ ।
এস আই (স্পেশাল রিজার্ভ পুলিশ) জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন খোকনের নান্দিক উপস্থাপণায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব আবুল বাসার তার বক্তব্যে বলেন,মুক্তিযোদ্ধারা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের এ সুর্য্য সন্তানদের যোগ্য সম্মান দিতে হবে।
উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলী আক্তার বলেন ‘ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার স্ব-পক্ষের শক্তি। মুক্তিযোদ্ধারা আওমীলীগেরই অনুসারী। তারাঁ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে দেশ-মাতৃকার মুক্তির জন্য জীবনবাজী রেখে যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন।
অনেকেই শহীদ হয়েছেন। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমি আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে হত-আহত এবং জীবি সকল মুক্তিযুদ্ধাদের বিন্রম শ্রদ্ধা জানাই। দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে তাদের এই আত্মত্যাগ বাঙ্গলী জাতি চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করবে।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জনাব রেজাউল করিম রেজা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধারা জাতির সূর্য্য সন্তান। তাদের আত্মত্যাগের জন্যই দেশ আজ স্বাধীন। আজ আমরা সকলেই স্বাধীনদেশের নাগরিক। কাজেই এই সকল সূর্য্য সন্তানরা জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমি আমার অন্তরের সকল ভালবাসা আর শ্রদ্ধা জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তা-দের জন্য উৎসর্গ করলাম। সেই সাথে অনুষ্ঠান আয়োজকমন্ডলীদেরকেও আমার অন্তরের গভীর থেকে ভালবাসা রইল।
আমার জানা মতে, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা বিষয়ক এটি অত্র ইউনিয়নের ‘সর্ব প্রথম অনুষ্ঠান’। কাজেই এই অনুষ্ঠান আয়োজকবৃন্দ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অভূতপূর্বক সম্মান দুটিই অত্র ইউনিয়নের জন্য একটি নতুন ইতিহাস হয়ে থাকবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
#মোহাম্মদ নজরূল ইসলাম/বাংলাটপনিউজ২৪.কম#