সহকারী জজ পদে ইবির ৬ শিক্ষার্থী 

0
206
ইবি প্রতিনিধি: ১৩তম বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় (বিজেএস) সহকারী জজ পদে উত্তীর্ণ হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছয় শিক্ষার্থী। গত শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ এম রেজা জাকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
জানা যায়, গত শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা (বিজেএস)-২০১৯ এর সহকারী জজ পদের ফল প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ফলাফলে ১০০ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ ও মনোনীত হয়েছেন। এতে ছয়টি স্থান দখল করে নিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছয় শিক্ষার্থী। যার মধ্যে চারজনই নারী।
উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী হলেন- ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের আরিফা আক্তার (মেধাক্রম-৮ম), ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মো. মেহেদী হাসান (মেধাক্রম-২৯),২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের অর্পিতা আক্তার (মেধাক্রম-৩১), ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের সাদ্দাম হোসাইন (মেধাক্রম-৫৮), ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের লাবনী রাজনী (মেধাক্রম-৬৫) এবং ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের আয়েশা সিদ্দীকা (মেধাক্রম-৯৬)।
এদের মধ্যে টানা চারবার পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এবার উত্তীর্ণ হয়েছেন মেধা তালিকায় অষ্টম স্থানে থাকা আরিফা আক্তার। এর আগে কয়েকবার প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ভাইভা বোর্ড থেকে ফিরতে হয় তাকে। তবে ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের মধ্যদিয়ে শেষপর্যন্ত ছিনিয়ে নিয়েছেন জীবনের সেরা প্রাপ্তিটুকু। সফলতার অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে আরিফা বলেন, ‘আমি খুব মেধাবী নই। তাই আমার এ সফলতা ও অভিজ্ঞতাটাও অন্যদের তুলনায় কষ্টের। তবে ধৈর্য নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে গেলে সফলতা ধরা দিবেই।’
এদিকে প্রথমবারে পরীক্ষা দিয়েই সহকারী জজ পদে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মেহেদী হাসান (মেধাক্রম-২৯)। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ইতিহাসে প্রথম। অভাবনীয় এই সাফল্যের কথা শেয়ার করতে গিয়ে তিনি জানান, ‘নিয়মিত পড়াশুনা, সিন্সিয়ার হওয়া, হাতের লেখা ভালো করাসহ বিগত বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই আজ সাফল্যের মুখ দেখেছি। সর্বোপরি সকলের দোয়া ও ভালোবাসাই ছিল অনুপ্রেরণার মূল উৎস।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের এ সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন আইন বিভাগের একাধিক শিক্ষক। বিভাগের জৈষ্ঠ্য শিক্ষক ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুন সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে সময়ের আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের এই অর্জন শিক্ষকের কাছে খুবই মধুর ও তৃপ্তির। তবে সফলদের সংখ্যাটা আরও বেশি হওয়া কাম্য।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here