শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥ স্থানীয় দখলবাজ সন্ত্রাসী ও পুলিশের নির্যাতনে জমিজমা হারাতে বসেছে বলে অভিযোগ করেছে লাল-মোহনের জসিম হাওলাদার। এখন সন্ত্রাসী ও পুলিশের হুমকি ধমকিরমুখে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে জসিম ও তার পরিবার। ন্যায় বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে অনেকদিন পূর্বে ভোলা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছেন জসিম।
জসিমের লিখিত আবেদন থেকে জানাগেছে, সে ভোলা জেলার লালমোহন পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের ইউনুছ হাওলাদারের ছেলে। সে মুন্সীর হাওলা মৌজার এসএ ২৪ নং খতিয়ানের ৭১৪ নম্বর দাগের ১৯ শতাংশ জমির ক্রয় সূত্রে মালিক। সেই জমিতে ২০ বছর ধরে পুকুর খনন ও গাছপালা সৃজন করে ভোগ দখল কায়েম থেকে আসছে জসিম। ইতোমধ্যে সেই জমি থেকে জসিমকে বেদখল করার জন্য স্থানীয় ইউসুফ ও খোকন হাওলাদার নানাবিদ চেষ্টা করেই চলছে।
দখলদারদে দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ইতোমধ্যে দুইবার লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ জসিমকে থানায় বেআইনী ভাবে আটকে রেখে দখলবাজদের গাছ কেটে নিতে ও পুকুর ভড়াট করতে সুযোগ করে দিয়েছে। প্রতিবাদ করায় ওসি অস্ত্রসহ বিভিন্ন মামলায় জসিমকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে। পরবর্তীতে টাকার বিনিময়ে পুলিশের কাছ থেকে রক্ষা পেলেও বর্তমানে জসিম হাওলাদার ও তার পরিবার সন্ত্রাসী ও পুলিশী অত্যাচারে দিশেহারা হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানিয়েছে।
ভুক্তভোগী জসিম হাওলাদার বলেন, সন্ত্রাসীরা এলাকার চিহ্নিত দখলবাজ। অন্যের জমি দখল করাই তাদের কাজ। ইতোমধ্যে সন্ত্রাসীরা আমার জমি থেকে ৫ লাখ টাকা মূল্যের গাছ কেটে নিয়ে গেছে। পুকুর ভরাট করে ৪ লাখ টাকা পরিমান ক্ষতিসাধণ করেছে। এখন আমাকে ও আমার পরিবারকে জীবন নাশের হুমকি দেয়।
আমি পুলিশ সুপারের কাছে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছি। সে যদি নিজে বিষয়টি তদন্ত করেন তাহলে আমার ও আমার পরিবারের জীবনে নিরাপত্তা ফিরে আসবে। আমার কষ্টার্জিত টাকায় ক্রয়কৃত জমিও ফিরে পেতে পারতাম। আমি পুলিশ সুপারের সার্বিক সহায়তা কামনা করছি।