শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥ শরীয়তপুরের বিভিন্ন খামার থেকে একের পর এক গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। নিরাপত্তা বেস্টুনি ও সিসি টিভি ক্যামেরাও ঠেকাতে পারছে না গরু চুরি। থানায় মামলা করেও উদ্ধার হয়নি গরু। চিহ্নিত হয়নি চোরচক্র।
বুধবার রাতেও শরীয়তপুর জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র পাকার মাথা নামক এলাকা থেকে খামার শূণ্য করে নিয়ে গেছেন গরু। এর পূর্বে জেলা প্রশাসকের বাস ভবন গেইটের ১০০ মিটারের মধ্য থেকে আরও একটি খামার শূণ্য করেছে চোরেরা।
একই ঘটনা ঘটেছে সখিপুর তারাবুনিয়া এলাকায়ও। সকল চুরির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পাকার মাথার খামারী সিরাজুল ইসলাম সিকদার জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় ২ আগস্ট মঙ্গলবার রাত সারে ১১টার সময় তিনি ৩টি গাভি, ১টি বলদ ও ১টি বাছুরকে খাবার দিয়ে খামারের দরজা তালাবদ্ধ করে রাখেন।
ভোর ৫টার সময় খামারে গিয়ে দরজা খোলা এবং খামার গরু শূণ্য দেখেন। তাৎক্ষণিক সে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চায় এবং বিভিন্ন এলাকায় খোজাখুজি করে। তবে গরুর কোন সন্ধান পায়নি সে। এই বিষয়ে তিনি পালং মডেল থানায় মামলা করেছেন।
অপর খামারী সুশিল দাস জানায়, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের বাস ভবনের দক্ষিণ পাশে তার বাড়ি। বাড়িতেই তিনি গরুর খামার তৈরী করেন। খামারটি সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়। খামারে ৬টি গরু ছিল। গত ১৯ জুন রাত আড়াইটার সময় সিসি ক্যামেরায় দেখেন খামারে কোন গরু নাই।
তিনি তাৎক্ষণিক বের হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও গরুর কোন সন্ধান পাননি। এই বিষয়ে পালং মডেল থানায় মামলা করেছেন। একই ঘটনা ঘটতেছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। এই বিষয়ে পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আক্তার হোসেন বলেন, নতুন কৌশলে গরু চুরির ঘটনা ঘটতেছে।
ঘটনাস্থল, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বিভিন্ন এলাকার সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত কাজ শুরু করেছি। খুব শীর্ঘই চোরচক্র ধরতে সক্ষম হব। জেলা প্রশাসকের বাস ভবনের পাশে ও পাকার মাথা এলাকার খামারে চুরির বিষয়ে মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।