টাঙ্গাইলে বন্যায় ১১০ গ্রাম প্লাবিত !

0
144

টাঙ্গাইলের অভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে এ জেলার ছয় উপজেলার অন্তত ১১৪ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে গবাদিপশু নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

এক দিকে ঘর-বাড়িতে পানি উঠছে অন্যদিকে ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে। প্লাবিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট, কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ঝিনাই নদীর পানি বাসাইল অংশে ১৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সরেজমিনে জানা যায়, যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ও হেমনগর ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রাম, ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা, গাবসারা ও গোবিন্দাসী ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি গ্রাম, কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী, দুর্গাপুর, সল্লা ও দশকিয়া ইউনিয়নের প্রায় ২৫টি গ্রাম, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া, কাকুয়া, কাতুলি ও মাহমুদনগর ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রাম, নাগরপুরের ভাড়রা, সলিমাবাদ ও দপ্তিয়র ইউনিয়নের ৭টি গ্রাম, বাসাইল উপজেলার সদর, কাশিল ও ফুলকী ইউনিয়নের ১২টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। ওইসব এলাকার অন্তত ১৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে হারে পানি বাড়ছে তাতে বন্যার ভয়াবহ রূপ ধারণ করলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বরাবরের চেয়ে আরও বেশি সতর্ক রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here