থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচাকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। প্রায়ুথ চান-ওচার প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ শেষ হয়েছে এই মর্মে বিরোধীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে দেশটির প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
থাইল্যান্ডের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ হলো আট বছর। সাবেক এ সেনাপ্রধান প্রথমে ২০১৪ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন এবং তারপর ২০১৯ সালে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে নির্বাচনের অধীনে পদ ধরে রাখেন।
সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে বিরোধিতার সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি এবং তার নিজের জোটের লোকেরা আস্থা হারাচ্ছেন। এ বছর এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে একাধিক বার অনাস্থা ভোট হয়েছে।
বিরোধীরা বলছেন, প্রায়ুথ চান-ওচার ক্ষমতার মেয়াদ শুরু হয় যখন তিনি জান্তা প্রধান ছিলেন। একজন সামরিক নেতা হিসেবে তিনি ২০১৪ সালে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। এরপর ২০১৪ সালের আগস্টে সামরিক সরকারের অধীনে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন। সুতরাং তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি সপ্তাহে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত রাজনৈতিক বিরোধীদের কাছ থেকে মামলার শুনানি তে রাজি হন। এসময় বিচারকদের পাঁচজনের মধ্যে ৪ জনই তাকে বরখাস্ত করার ব্যাপারে সমর্থন দেন। তবে এ মামলার রায় কখন হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।