সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমানুল সোহানের সঞ্চালনায় সমাবেশে সংসদের সভা-পতি নুরুন্নবী ইসলাম সবুজ, সাধারণ সম্পাদক জিকে সাদিকসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘ দীর্ঘ ১০ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাতে শিক্ষার্থীদের সেবা বাবদ কোন অর্থ ব্যয় করতে হয়নি কর্তৃপক্ষের। কিন্তু বর্তমানে পরীক্ষার জেরে শিক্ষার্থীদের থেকে সকল প্রকার ফি নেওয়া হচ্ছে।
এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। একইসাথে আবাসিক হল বন্ধ রেখেই পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের জন্য হুমকিস্বরূপ বলে জানান তারা। কেননা আবাসিক হলে না থাকতে পেরে ক্যাম্পাসের আশপাশের মেসে গাদাদাদি করে থাকতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ফলে স্বাস্থ্যঝুকি সহ ও নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে শিক্ষার্থীরা।
তাই সমাবেশে বক্তারা আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করেই পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান। এছাড়াও নম্বরপত্র, সার্টি-ফিকেট ও অন্যান্য কাগজপত্র উত্তোলনে প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনেরও জোর দাবি জানায় তারা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের এই দাবিসমূহ না মেনে নিলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ারও হুঁশিয়ারিও দেন বক্তারা। পরে দুপুর একটায় একই দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষার্থীদের এই দাবি
সমূহ যৌক্তিক বলে বিশ্বাস করি। এ ক্ষেত্রে সরকার ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কীভাবে সমন্বয় করে তা দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলোর পরবর্তী মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কমিটির সভায় আবাসিক হল বন্ধ রেখেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও অন্যান্য শিক্ষাবর্ষের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে বিভাগকে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এর আলো কে বিভিন্ন বিভাগ পরীক্ষার সময়সূচী প্রকাশ করেছে। পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পরিবহন ও আবাসিক ফিসহ মোটা অঙ্কের টাকা গুণতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।