তথ্য গোপন করে একাধিক বিয়ে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিসে অভিযোগ !

0
344
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- তথ্য গোপন করে একাধিক বিয়ে করায় একেএম ইব্রাহীম ওরফে খায়ের নামে এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। একেএম ইব্রাহীম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে ও গাড়ামারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ওই শিক্ষকের তৃতীয় স্ত্রী মিতা খাতুন এই অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে ঝিনাইদহ উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুধাংশু শেখর বৃহস্প তিবার বিকালে জানান, শিক্ষক ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে মামলাও হয়েছে। সার্বিক বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মিতা খাতুন লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল এক লাখ টাকার কাবিনে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানতে পারেন এটা তার স্বামীর তৃতীয় বিয়ে। এর আগে রহিমা খাতুন ও ইয়াসমিন নামে তার স্বামীর আরো দুইটি স্ত্রী ছিল।
দ্বিতীয় স্ত্রী ইয়াসমিন ১৫ বছর সংসার করে স্বামীর লাম্পট্য ও নির্যাতনের কারণে ঢাকায় চলে যান। এখন প্রথম স্ত্রী রহিমা খাতুন ও তিনি সংসারে আছেন। মিতা খাতুনের ভাষ্যমতে বিয়ের পর থেকেই স্বামী একেএম ইব্রাহীম দুই লাখ টাকার যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন।
বাদীর হতদরিদ্র পিতা মোজাম মন্ডল মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিয়ের পরপরই জামাইকে টিভি, সোনার গহনা, নগদ টাকা ও আসবাবপত্র দেন। এতে খুশি হতে পারেনি যৌতুক লোভী স্বামী একেএম ইব্রাহীম। টাকার জন্য প্রায় মারপিট করতে থাকেন মিতাকে। গত ১ জানুয়ারী বাদীকে যৌতুকের জন্য বদেম মারপিট করে স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
এ নিয়ে হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদে আপোষরফা হয়। মুচলেকা দিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে যান। পরে আবারো শিক্ষক ইব্রাহীম স্ত্রীকে মারধর করতে থাকে। ন্যায় বিচারের দাবীতে তৃতীয় স্ত্রী মিতা খাতুন আদালতে মামলা করার পাশাপাশি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে নালিশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে শিক্ষক একেএম ইব্রাহীমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here