ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা চতুর্থ সপ্তাহে প্রবেশ !

0
96

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা চতুর্থ সপ্তাহে প্রবেশ করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এখনই কোন শান্তি চুক্তির কথাটা কিছুটা বিস্ময়কর ব্যাপার বলেই মনে হতে পারে। তবে মনে হচ্ছে একটি রূপরেখার প্রেক্ষাপট ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ানের সাথে টেলিফোনে আলাপের সময় নিজের কিছু শর্তও তুলে ধরেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

মিস্টার এরদোয়ানের প্রধান উপদেষ্টা ইব্রাহিম কালিন এ ফোনালাপ শুনেছেন এবং সেখানে কি আলোচনা হয়েছে সেটি তিনি বিবিসির জন সিম্পসনকে বলেছেন। শর্তগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। মি. কালিনের মতে, প্রথম চারটি শর্ত মেনে নেয়া ইউক্রেনের জন্য খুব কঠিন কিছু হবে না।

এসবের মধ্যে প্রধান শর্তটি হচ্ছে, ইউক্রেনকে নিজেদের নিরপেক্ষ ভূমিকা মেনে নিতে হবে এবং তারা কখনোই নেটোতে যোগ দেয়ার চেষ্টা করবে না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এরই মধ্যে এটি মেনে নেয়ার কথাও বলেছেন।

প্রথম ভাগের অন্যান্য শর্তগুলো হচ্ছে- ইউক্রেনকে একটি নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, যার মাধ্যমে প্রমাণ হবে যে তারা রাশিয়ার জন্য কোন হুমকি নয়। ইউক্রেনে রুশ ভাষাকে সুরক্ষা দিতে হবে, এবং দেশটিকে রাশিয়ার ভাষায় ‘ডি-নাজিফিকেশন’ অর্থাৎ নাৎসীমুক্ত করতে হবে।

দ্বিতীয় ভাগের শর্তগুলো তুলনামূলক জটিল। মি. কালিন জানান, ফোন কলে মি. পুতিন বলেছেন কোন সমঝোতায় পৌছানের আগে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট মি. জেলেনস্কির সাথে মুখোমুখি বসতে চান। মি. জেলেনস্কিও এরমধ্যে জানিয়েছেন যে তিনিও রুশ প্রেসিডেন্টের সাথে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।

তবে সেই আলোচনার শর্তগুলো নিয়ে খুব পরিষ্কার করে কিছু বলতে চাননি মি. কালিন। তিনি শুধু বলেছেন যে এগুলো মূলত পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল এবং ক্রাইমিয়া সংক্রান্ত।ওদিকে উদ্ধার কর্মীরা মারিউপোলে একটি থিয়েটারের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

ছবিতে থিয়েটারটির ভয়াবহ চিত্র দেখা গেলেও যে কয়েকশ বেসামরিক নাগরিক সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলো তারা বোমাবর্ষণের আগেই সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

রাশিয়ান বাহিনী ক্রাইমিয়ার দিক থেকে ইউক্রেনের দক্ষিণে আরও অগ্রসর হয়েছে। তারা কিয়েভকে ঘিরে ফেলে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। তবে শহরটির বড় অংশ বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চল ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণেই আছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জার্মান সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বলেছেন নতুন ধরণের এক জার্মান দেয়াল তৈরি হয়েছে যা ইউরোপকে মুক্তি ও দমন-পীড়নে বিভক্ত করেছে।

রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমর্থন দেয়ায় তিনি অবশ্য দেশটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে তিনি জার্মান জ্বালানি নীতি ও ব্যবসায়িক স্বার্থের সমালোচনা করেন যা তার মতে বিভক্তির দেয়াল তৈরিতে সহায়তা করছে। (বিবিসি বাংলা)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here