ইউক্রেনের যুদ্ধ বছরের পর বছর চলতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন নেটো জোটের প্রধান এবং এজন্য তিনি কিয়েভকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত থাকার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে আহবান জানিয়েছেন।
পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, এই যুদ্ধের চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু মস্কোকে যদি তাদের সামরিক লক্ষ্য অর্জন করতে দেওয়া হয় তাহলে তার জন্য আরো বেশি মূল্য দিতে হবে। এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও দীর্ঘমেয়াদী সংঘাত মোকাবেলার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন।
দ্বিতীয়বারের মতো কিয়েভ সফর থেকে ফিরে শনিবার তিনি বলেন, দৃশ্যত মনে হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে সারা বিশ্বে যেন একটা ক্লান্তি ভর করতে শুরু করেছে।নেটোর প্রধান এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী দু’জনেই ইউক্রেনে আরো সামরিক সাহায্য পাঠানোর ওপর জোর দিয়েছেন।
তারা মনে করেন, অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে কিয়েভকে সহযোগিতা করা হলে এই যুদ্ধে ইউক্রেন জয়ী হতে পারে। “এই ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে যে এই যুদ্ধ কয়েক বছর ধরে চলতে পারে। ইউক্রেনকে সাহায্য করা থেকে আমাদের দমে গেলে চলবে না,” জার্মান সংবাদপত্র বিল্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন নেটোর প্রধান।
মি. স্টলটেনবার্গ মনে করেন, ইউক্রেনকে আরো অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করা হলে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস এলাকাকে মুক্ত করার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। এই অঞ্চলের সিংহভাগ এখন রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।মূলত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দখলের জন্যই গত কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনীয় ও রুশ বাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে। এবং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রুশ বাহিনী ধীরে ধীরে কিছু অগ্রগতি ঘটিয়েছে।
সানডে টাইমস সংবাদপত্রে লেখা এক নিবন্ধে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অভিযোগ করেছেন যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যতোই ক্ষতি হোক না কেন দাঁতে দাঁত চেপে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বর্বর হামলা চালিয়ে ইউক্রেনকে ধ্বংস দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
বুধবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ ব্রাসেলসে প্রায় ৫০টি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে আরো সামরিক সাহায্য চেয়েছেন।
ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করেছে, কিন্তু ইউক্রেন বলছে রাশিয়ার আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে যতো অস্ত্রের প্রয়োজন তার খুব সামান্যই তারা পেয়েছে। (বিবিসি বাংলা)