সারা দেশের চার হাজারেরও বেশি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও আড়াই শতাধিক পৌরসভার উপনির্বাচন ও সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি বছরের ডিসেম্বর ও আগামী বছরের মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে ইউপি নির্বাচন হবে। এজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে পৌরসভার তথ্য চেয়েছে ইসি।
ইসির একাধিক সূত্র জানায়, সারা দেশে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি ইউপি আছে। এর মধ্যে ৫০০-এর মতো মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার কারণে আসন্ন ডিসেম্বরের মধ্যে সেগুলোতে ভোট হবে। বাকি ৪ হাজারের মতো নির্বাচন আগামী বছরের মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত হবে।
সর্বশেষ পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনটি হয়েছিল গত ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে। নির্ধারিত সময়ের ৪০ থেকে ৪৫ দিন হাতে রেখে এসব নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে ইসিকে। এজন্য মাঠ পর্যায় থেকে তালিকা সংগ্রহ করা, নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধকতা ও সীমানাসংক্রান্ত জটিলতা খতিয়ে দেখার নির্দেশনা পেয়েছেন ইসির মাঠ কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, কমিশন সভার সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী অক্টোবর মাস থেকে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন শুরু করা হবে। আর নভেম্বর থেকে জাতীয় সংসদের শূন্য আসনগুলোর নির্বাচন শুরু করা হবে।
জানা যায়, ২০১৬ সালের মার্চ ইউপিতে বিভাগওয়ারী নির্বাচন হয়েছিল। এবারও এই প্রক্রিয়ায় করার প্রাথমিক পরিকল্পনার রয়েছে ইসির। করোনার কারণে স্থানীয় সরকারের স্থগিত ১১৫টি নির্বাচন এবং অপসারণ, পদত্যাগ, মৃত্যু ও মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে নির্বাচন উপযোগী ১৮৭টি জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আসছে অক্টোবর থেকেই শুরু হবে। করোনার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব নির্বাচন হবে।